Wednesday, March 22, 2023

আমাদের কোনো গুপ্তধন নেই, যা দিয়ে সার কিনব: কৃষিমন্ত্রী

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

এমবাপ্পেকে অধিনায়ক করায় গ্রিজম্যানের অবসরের হুঁশিয়ারি

কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফ্রান্সের অধিনায়ক করায় চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন...

রকেট হামলায় পিটিআই নেতাসহ নিহত ১০

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে একটি গাড়িতে রকেট হামলার ঘটনা...

এবার আইসিসির আইনজীবী ও বিচারকদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার মামলা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তিন...

বিশ্বকাপ ফুটবলে জয় লাভের স্বপ্ন দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলব।...

কিশোরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড...

করোনা মহামারি ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এত টাকা আমরা কোথা থেকে দেব? আমাদের তো কোনো গুপ্তধন নেই যে সেই টাকা দিয়ে সার কিনে নিয়ে আসব।’

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী। এ সময় রুশ মুদ্রা রুবলের সঙ্গে টাকার বিনিময়কে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সারা পৃথিবীতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমরা তো সেটা থেকে মুক্ত নই। তেলের দাম যদি না কমে, যুদ্ধ যদি বন্ধ না হয়, পাঁচ ডলারের এলপিজি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ ডলারে। এটা ৬০ ডলারেও উঠেছিল। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাস না কিনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিনছে। সেখান থেকে নিয়ে তারা জমিয়ে রাখছে। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা কেবল রাশিয়ার বিরুদ্ধেই নয়, আমাদের বিরুদ্ধেও।’

তিনি বলেন, ‘সব দেশের ওপর এর প্রভাব পড়ছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাও আমাদের ক্ষতি করছে। মানবজাতির শান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া উচিত, যাতে পৃথিবীর অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কম আয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে জ্বালানির কারণে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।’

আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন জিনিসের দাম কমলেও দেশে তার প্রভাব না পড়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই রকম কমেনি। পাঁচ ডলার যেটার দাম ছিল, সেটা এখন ২৫ ডলার। তার মানে এখনও পাঁচ গুণ বেশি। এক টন এমওপি ছিল ২১৯ কিংবা ২৫০ ডলার। সেটা এখন ৬০০ ডলার। আমাদের মতো দেশ কীভাবে এই ব্যয় বহন করবে? এত টাকা আমরা কোথা থেকে দেব? আমাদের তো কোনো গুপ্তধন নেই যে সেই টাকা দিয়ে সার কিনে নিয়ে আসব।’

তিনি বলেন, রুবলের সঙ্গে টাকা বিনিময় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছে। চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here