কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে বেকার হচ্ছে দিনমজুর শ্রমিকরা

0
53
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে বেকার হচ্ছে দিনমজুর শ্রমিকরা
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে বেকার হচ্ছে দিনমজুর শ্রমিকরা

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।।

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ ও চাষাবাদের সাথে সম্পর্ক রেখে জীবিকা নির্বাহ করে ফলে পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস আসে কৃষি হতে তারই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ কৃষক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে ব্যাপক বিপ্লব সাধন করেছে। কৃষি কাজ, চাষাবাদ, ফসল রোপন, মাড়াইসহ যাবতীয় কাজ ঝামেলা মুক্ত ভাবে খুব অল্প সময়ে করছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মোহনপুর, পলাশবাড়ী ভোগনগর, নিজপাড়া,মরিচা, সুজালপুর, শতগ্রাম সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আমন ধান কাটতে এলাকায় শ্রমিক পর্যাপ্ত থাকলেও বেশির ভাগ কৃষক হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে আমন ধান মাড়াই করে ঘরে তুলছে।

এই এলাকার মানুষের কাছে ধান মাড়াইয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হারভেস্টার মেশিন। যার প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টির শঙ্কায় ধানচাষীরা দ্রুত ইরি-বোরো, আমন ধান কেটে, বস্তাবন্দি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। ফলে অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে চাষীদের।

এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এইবার আগাম ২ একর আগাম আমন ধান চাষ করেছি ধান মাড়াইয়ে আমি হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে সব ধান কেটে ঘরে তুলছি কারণ দিনমজুর কৃষি শ্রমিকরা ১ একর ধান কেটে দিতে ১০ হাজার টাকা দিতে হয় এবং এই ধান মাড়াই,বস্তাবন্দি, পরিষ্কার সহ অনেক ঝামেলা কিন্তু হারভেষ্টার মেশিনে ১ একর ধান মাড়াইয়ে খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টা বস্তাবন্দি সহ কম সময়ে ঝামেলা ছাড়া ধান মাড়াই করতে পারছি এতে আমার সময় ও টাকা বেঁচে যাচ্ছে।

অপরদিকে কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান,আমাদের এলাকায় ধান কাটা মেশিন আসায় আমরা এই বার আগাম আমন ধান কাটতে পারি নাই আমি সহ আমার দলে ২০ জন কাজ করি, সবাই বসে আছি কোন কাজ পাচ্ছি না ইনকাম নেই এতে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি। কিন্তু আজ হতে কয়েক বছর আগে এই সময়ে কাজ করে অনেক টাকা ইমকাম করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here