Homeআন্তর্জাতিকচীনের পরই মহড়া চালাল তাইওয়ান

চীনের পরই মহড়া চালাল তাইওয়ান

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই এবার মহড়া চালিয়েছে তাইওয়ান। বুধবার (১১ জানুয়ারি) দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনাঘাঁটি থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের এ মহড়া চালানো হয়। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রস্তুতি হিসেবেই এমন পদক্ষেপ বলে দাবি তাইপের। খবর আল-জাজিরার।

নতুন বছরেও কমেনি চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা। দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। চীনের সামরিক মহড়ার দুদিন পরই পাল্টা মহড়া চালাল তাইওয়ান।

তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শিনছু সেনাঘাঁটি থেকে বুধবার (১১ জানুয়ারি) এ মহড়া চালানো হয়। এতে অংশ নেয় অত্যাধুনিক ম্যারাজ টু থাউজেন্ড যুদ্ধবিমান, এএইচ সিক্সটি ফোর অ্যাপাচি হেলিকপ্টার এবং সেনাবাহিনীর বেশকিছু সাঁজোয়া যান। 

এক বিবৃতিতে মহড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি তাইপের আশপাশে চীনা বিমান ও যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রস্তুতি হিসেবেই এমন পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে যারা উসকানি দিচ্ছে তাদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন। তাইপে ইস্যু নিয়ে যারা উত্তেজনা বাড়াচ্ছে তারা আগুন নিয়ে খেলছে বলে মন্তব্য করেছে বেইজিং। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে চীনের তাইওয়ানবিষয়ক অফিসের মুখপাত্র মা শিয়াওগুয়াং বলেন, বেইজিং নতুন বছরে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চীন বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

শিয়াওগুয়াং আরও বলেন, কয়েকটি দেশ চীনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য যেভাবে সমর্থন দিচ্ছে, তাকে ইচ্ছাকৃত উসকানি হিসেবে দেখছে বেইজিং। একই সঙ্গে তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল সংকেত পাঠানো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে অঞ্চলটিতে চীনের আধিপত্য বাড়তে থাকায় নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে জাপান। বুধবার (১১ জানুয়ারি) চুক্তিতে সই করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এ চুক্তির ফলে নিজেদের সীমানায় উভয় দেশ সেনা মোতায়েন করতে পারবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

সর্বশেষ খবর