Friday, March 31, 2023

তাইওয়ানে যেকোনো সময় ঢুকতে পারে চীনা সামরিক বাহিনী

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

চীনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

চীনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন...

পরকীয়ায় সমস্যা নেই আলিয়ার!

আলিয়ার মন্তব্যে তুখোড় শোরগোল! সম্প্রতি বাবা মহেশ ভাটকে নিয়ে...

মিয়ানমারে ৪০ রাজনৈতিক দল বিলুপ্তির ঘোষণায় চার দেশের উদ্বেগ

মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল...

ফুলবাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

জাকা‌রিয়া শেখ, ফুলবাড়ী ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।   কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে...

রামগতিতে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মডেল গুচ্ছগ্রাম” উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

মু.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর।।   জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান...

তাইওয়ানে যেকোনো সময় চীনা সামরিক বাহিনী ঢুকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং।

সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের আকাশে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। প্রায় প্রতিদিনই অঞ্চলটিতে চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করছে বলে দাবি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

সোমবার (৬ মার্চ) পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের প্রশ্নের উত্তরে চিউ কুও-চেং বলেন, ‘চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাইওয়ানের আঞ্চলিক আকাশ ও সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকায় প্রবেশের অজুহাত খুঁজছে।’

তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান সংলগ্ন অঞ্চলে হঠাৎ প্রবেশ করতে পারে পিএলএ। এটা চলতি বছরেই ঘটতে পারে। আসলে তারা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রয়োজনে তারা শক্তি প্রয়োগ করবে।’

তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘বেইজিং তার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য অবশ্যই দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।’

তাইওয়ান বলছে, চীনা সশস্ত্র বাহিনী তার ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে আত্মরক্ষা এবং পাল্টা আক্রমণের অধিকার প্রয়োগ করবে তারা।

গতবছর তৎকালীন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীন অঞ্চলটির চারপাশে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছিল।

এদিকে ‘ক্রমবর্ধমান’ হুমকির মধ্যেও চীন এ বছর তাদের সামরিক ব্যয় ৭ শতাংশের বেশি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

সোমবার (৬ মার্চ) ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (এনপিসি) চীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বেইজিংয়ের সামরিক বাজেটের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এখনও অনেক কম। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেটের আকার চীনের চারগুণ।

চীনের অর্থনীতিতে যে হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সামরিক ব্যয় তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় দেশটি তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

অধিবেশনের শুরুতে ঘোষণা করা হয়, এ বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫ শতাংশ নামিয়ে আনা হচ্ছে; অন্যদিকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়বে ৭ শতাংশেরও বেশি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা বাজেটের বিষয়টি চীনের প্রতিবেশী দেশ, সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, যারা বেইজিংয়ের কৌশলগত উদ্দেশ্য এবং এর সামরিক শক্তির বিকাশ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে।

বিশেষত সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। জাপানের মতো ওই অঞ্চলের অন্য শক্তিধর দেশগুলোও তাদের সামরিক বাজেটের আকার বাড়াচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here