Wednesday, March 29, 2023

পশ্চিমবঙ্গে দুই মাসে অ্যাডিনো ভাইরাসে ১০০ শিশুর মৃত্যু

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

ভেদরগঞ্জে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম

মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ...

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে টর্নেডোতে বিধ্বস্ত মিসিসিপি

শক্তিশালী টর্নেডোর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের...

শুনানিতে অংশ নিলেন প্রিন্স হ্যারি

লন্ডনের আদালতে শুনানিতে অংশ নিলেন প্রিন্স হ্যারি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম...

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন শিখর ধাওয়ান, দিলেন পরামর্শও

নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের ব্যাটসম্যান শিখর...

ভারতের পার্লামেন্টের বাইরে কংগ্রেসের ব্যাপক বিক্ষোভ

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাজা ও তার লোকসভার সদস্যপদ...

পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নতুন আতঙ্ক অ্যাডিনো ভাইরাস। রোববার (৫ মার্চ) মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, গেল দুমাসে ভাইরাল ফিভার এবং নিউমোনিয়ায় মারা গেছে শতাধিক শিশু। এদের সবাই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ছুটি বাতিল করে শিশুদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত চিকিৎসক নিযুক্ত করেছে রাজ্য সরকার।

ভারতে অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে রাজধানী কলকাতায়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান না প্রকাশ করা হলেও ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, শুধু গত দুমাসেই সংক্রামক এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত একশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

কলকাতার প্রায় সব সরকারি হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড়। শয্যা খালি না থাকায় বি সি রায় শিশু হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এমনকি বহু বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও ফিরে যাচ্ছেন আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার বি সি রায় ও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে অতিরিক্ত শতাধিক শয্যা বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুধু তা-ই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচিবালয় নবান্নে সার্বক্ষণিক জরুরি শাখা খোলা হয়েছে। সেখানে থেকেই গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি মনিটর করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তীব্র জ্বর, শরীরের জ্বালাপোড়া, ঘুম না আসা, ঘনঘন প্রস্রাব ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাশের মতো উপসর্গ দেখা দিলে এবং টানা ৪ থেকে ৫ দিন জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় কলকাতার বাইরের জেলা শহর, প্রতিবেশী রাজ্য এমনকি বাংলাদেশেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here