Sunday, April 2, 2023

ফরিদপুরে পাট চাষিদের সোনালি স্বপ্নভঙ্গ

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

আমাদের আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

বাংলাদেশ ছিলো দূর্ভিক্ষের রাষ্ট্র, প্রাকৃতিক দূর্যোগের রাষ্ট্র। সেই বাংলাদেশকে...

সিরিয়ায় ‘উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড’ চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী: রাশিয়া

সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনী `উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড’ চালিয়ে যাচ্ছে বলে...

দুই বিয়ের দাবিতে থানায় তরুণী, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি

বিয়ের মৌসুম শুরু হতেই শিরোনামে চলে আসে একের পর...

যেকোনো সময় ইতিহাসের ‘সর্ববৃহৎ’ অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে কলম্বিয়ায়

কলম্বিয়ার নেভাদো দেল রুইজ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে যেকোনো...

প্রথম আলোর কারণে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংকটে পড়ে: পরশ

প্রথম আলো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন যুবলীগের...

‘সোনালি আঁশে ভরপুর ভালোবাসি ফরিদপুর’ খ্যাত পাটের রাজধানী ফরিদপুরে পাট চাষিদের সোনালি স্বপ্নভঙ্গ। দেশের সোনালি আঁশের বড় বাজার ফরিদপুরের বিভিন্ন মোকামে থেকে পাট বিক্রি শুরু হয়েছে। এ বছর পর্যাপ্ত পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় পাটের গুণগতমান কমেছে। এরপর বাজারে এসে যে দাম পাচ্ছেন তাতে খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়েছে চাষিদের।

পাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার কৃষকের কাছ থেকে পাট ক্রয় করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।

ফরিদপুরে গত বছর যে পাট সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার সেই পাটের দাম নেমে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

পাটের জাগের ভোগান্তির পর দরেও হতাশ চাষিরা। তারা বলছেন, এবার বৃষ্টি হয়নি। তার ওপর আবার শ্রমিকের খরচও আগের চেয়ে বেশি। এবার তো খরচই উঠছে না, লাভ তো দূরের কথা। পানির কারণে পাটের জাগ দেয়ার সমস্যা হয়েছে। এ ফলে পাটের আঁশের রং ভালো আসেনি। রং ভালো না থাকায় কাঙ্ক্ষিত দর পাচ্ছেন না কৃষকরা। মিল মালিকরা পাট কিনতে চাচ্ছেন না আবার ব্যবসায়ীরা ভালো পাট না হলে কিনছেন না। ফলে পাট নিয়ে বিপাকে চাষিরা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, সরকার কৃষকের কাছ থেকে পাট ক্রয় করে তাহলে তারা লাভবান হবে। কৃষকদের প্রতি সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. জিয়াউল হক বলেন, জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে এবার ৮৬ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে ৮৭ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন করেছেন চাষিরা, যা গত বছরে তুলনায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বেশি উৎপাদন হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here