Homeজেলাভেদরগঞ্জে আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ভেদরগঞ্জে আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীরের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে ১জন করে কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষা বিদ্যালয় কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঐ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চাকুরী প্রার্থীসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট ডিজি’র প্রতিনিধি’র এক শিক্ষকের সাথে পরস্পর যোগসাজশে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তার পছন্দের প্রার্থীর কাছে আগেই ফাঁস করে দিয়েছেন। এছাড়া পরীক্ষার সময় কম্পিউটার ল্যাব পদে একজনের জন্য অন্য ৩জনকে প্রক্সি দিতে সুযোগ করে দেয়া, পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্রের উত্তর বলে দেয়াসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে খালেদ মোঃ আলমগীর তার নিজ শ্যালিকার পুত্র কামরুল হাসানকে অফিস সহায়ক পদে এবং বিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষিকার পুত্র শুভ সিকদারকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ দেয়ার সুব্যবস্থা করেছেন।

এতে চাকুরীপ্রার্থী ও স্থানীয়দেও মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীরের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ এনে চাকুরী প্রার্থীরা এ নিয়োগ পরীক্ষা বয়কট করেছেন বলে জানা গেছে। নিয়োগ কমিটিতে আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীর, ডিজি’র প্রতিনিধি শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম, ভেদরগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কবির পালোয়ান রয়েছেন। এছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়নের সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীর, শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক মোঃ আলী আকবর ও একই বিদ্যালয়ের অন্য একজন শিক্ষক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।

প্রশ্ন প্রণয়নে তাদের ভূমিকা থাকায় নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউটার ল্যাব পদে অংশগ্রহণকারী শাহীন বলেন, নিয়োগ কমিটির অন্য সদস্যদের না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীর অন্য একজন শিক্ষকের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেন এবং পরীক্ষার হলে তিনি পরিদর্শকের ভূমিকা পালন করে তার পছন্দের প্রার্থী শুভ সিকদারকে লিখিত পরীক্ষায় নকল করাসহ অন্যান্য বিশেষ সুবিধা করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক আমরা পরীক্ষার্থীরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে প্রতিবাদ জানাতে চাইলে আমাদের হল রুম থেকে বের হতে দেয়নি প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীর। চাকুরী প্রার্থীরা এ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাকুরীপ্রার্থীসহ এলাকাবাসী। অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ মোঃ আলমগীর বলেন, কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। টাকা পয়সা নেয়া হয়েছে এমন কথার কোন ভিত্তি নেই। যা কিছু বলার বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলবেন। এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে আমাদের নিকট কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেননি।

সর্বশেষ খবর