Homeশীর্ষ সংবাদমেট্রোরেলের কাজ শেষে বায়ুদূষণের মাত্রা কমেছে ২২ শতাংশ

মেট্রোরেলের কাজ শেষে বায়ুদূষণের মাত্রা কমেছে ২২ শতাংশ

মেট্রোরেলের কাজ শেষ হওয়ায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের বায়ুদূষণের মাত্রা কমেছে ২২ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে যেখানে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত স্টেশন এলাকায় বায়ুর মান ছিল গড়ে ২৩৩ পিএম ২.৫, সেখানে কাজ শেষে এই ডিসেম্বরে গড় ১৮১। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হিসাব যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাস্তবতা। তাইতো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে পরিবেশের মান বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ তাদের।

ছবি দুটির মধ্যে পার্থক্য এক মাসেরও কম। ১০ ডিসেম্বর আগারগাঁও শ্যামলী নতুন লিংক রোডের কাজ চলা অবস্থায় সেই এলাকার বায়ুর মান ছিল প্রায় ৩০০ পিএম ২.৫। সড়কের এই অংশের কাজ শেষ হওয়ায় বায়ুমান ১৬০। ধোঁয়াশা যে কুয়াশায় বদলেছে তা সহজেই বোঝা যায় পাঁচ ডিসেম্বরের ছবিতে।

এত গেল সড়ক সংস্কারের প্রভাব। গত চার বছর ধরে চলা জরিপে দেখা গেছে মেট্রোরেলের যেসব এলাকায় কাজ চলায় উত্তরার ডিপো এলাকা থেকে মতিঝিল বায়ুর মান বিপদসীমার কয়েকগুণ বেশি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ডিপো থেকে প্রতিটি স্টেশন এলাকায় করা জরিপে দেখা গেছে বায়ুর মান পিএম ২.৫ ছিল ২৫০ থেকে ২২৫ এর মধ্যে যার গড় পিএম ২৩৩।

ঠিক এক বছর বাদে এই গড় এসে কমে এখন ১৮১। যদিও মিরপুর-১০ আর কাজীপাড়ার অবস্থা এখনো প্রায় অপরিবর্তিত। সেই হিসেবে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও এলাকায় বায়ুর মান বেড়েছে ২২ শতাংশের বেশি।
পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, নির্মাণকাজ যখন শেষ হয়েছে তখন বায়ুদূষণের মাত্রাও কমেছে। ফলে সুস্পষ্টভাবে বলা যায়, নির্মাণকাজ চললে সেখানে ধুলাসহ পরিবেশ ধ্বংসকারী উপাদান বাতাসে মিশে বায়ুমান খারাপ করে ফেলে। আর নির্মাণকাজ শেষ হলে বাতাস কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠে।

একই অবস্থা আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশের ক্ষেত্রেও। এই তথ্যই বলে দিচ্ছে এসব প্রকল্পে কতটুকু গুরুত্ব পাচ্ছে পরিবেশের মান। এ ধরনের প্রকল্পে একটি কমিটি থাকলেও বরাবরের মতো এবারও তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদরা। এবার তারা বলছেন, তাদের হাতে আছে শক্ত প্রমাণ। মেগা প্রকল্পের ভার পরিবেশ কতটুকু নিতে পারবে তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

তিনি বলেন, পরিবেশ নিতে পারবে এমন একটি মানদণ্ড বেঁধে দেয়া উচিত। এখানে যারা ঠিকাদার থাকবে তাদের দায়িত্ব থাকবে প্রতিনিয়তই তার রিপোর্ট প্রদান করা। তাহলে কিছুটা হলেও সুস্থ থাকবে পরিবেশ।

কেবল মেট্রারেলই নয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটি কিংবা সড়ক সংস্কারের মতো কাজে বায়ু আর শব্দদূষণ রোধে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপে রাখার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

সর্বশেষ খবর