সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাফুফের নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছিলেন বাংলার নারীরা। এই গৌরব অর্জনে আনন্দে ভেসেছিল পুরো দেশ। এরপর বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংবর্ধনা পেলেও এবার তাদের পুরস্কার দিল সোনালী ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে সাফে বাংলাদেশ নারী দলের চড়াই-উতরাইয়ের ঘটনা তুলে ধরেন বাফুফে নারী উইং চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের নারীদের যে অর্জন তা আরো সুদূরপ্রসারী করতে সোনালী ব্যাংককে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা যখন এই মেয়েদের নিয়ে যাত্রা শুরু করি, তখন আমাদের কাছে একটি টাকাও ছিল না। ২০১২ সালে আমরা যখন যাত্রা শুরু করি তখন আমাদের একটি স্পন্সর ছিল না। প্রথম ৬ বছর আমি এবং কাজী সালাউদ্দিন ব্যয়ভার বহন করেছি।’
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল সাবিনা, মারিয়ারা। দেশের ফুটবলের ইতিহাসে যা অন্যতম একটি মাইলফলক। ইতিহাস গড়া নারীদের বরণ করা হয়েছিল ইতিহাস সৃষ্টি করে। দেশে ফিরেই রাজসিক সংবর্ধনা পেয়েছিল বাংলার নারীরা।
বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তার বিশ্বাস, বাংলার নারীরা একদিন বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশের পতাকা উড়াবে ।
সোনালী ব্যাংকের সিইও মোহাম্মদ আফজাল করিম বলেন, ‘যাদের কেন্দ্র করে আমাদের এই অনুষ্ঠান তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনাদের নিজেদের চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। আপনাদের হাত ধরে বাংলাদেশ একদিন এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হবে এবং নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে। আমরা একদিন বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ছাদখোলা বাসে আনন্দ করব।’
অনুষ্ঠান শেষে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সব সদস্য ও কোচিং স্টাফদের উপহার ও সম্মাননা চেক তুলে দেওয়া হয়।