Sunday, April 2, 2023

৮৭ বছর বয়সে যাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে!

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

হারের পেছনে বোলারদের দায় দেখছেন মুস্তাফিজদের কোচ

এবারের আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে...

ইরান সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলায় ৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত

পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের চার সেনা সদস্য...

রমজানে গান চালানোর অভিযোগে রেডিও স্টেশন বন্ধ করল তালেবান

রমজানে গান চালানোর দায়ে একটি রেডিও স্টেশন বন্ধ করে...

লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে বড় জয় বার্সার

চ্যাম্পিয়ন লিগে না পারলেও লা লিগায় রীতিমতো উড়ছে বার্সেলোনা।...

ইউক্রেনকে বড় অঙ্কের ঋণ দিল আইএমএফ

ইউক্রেনকে আগামী চার বছরের জন্য এক হাজার ৫৬০ কোটি...

৮৭ বছর বয়সে যাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিখেছেন পড়তে এবং লিখতে। গল্পটি মিশরীয় এক নারীর। বৃদ্ধ বয়সে এসে লেখাপড়ার প্রতি তার এই আগ্রহ অনুপ্রেরণা দিচ্ছে আরও বহু বয়স্ক অক্ষরজ্ঞানহীনকে। খবর রয়টার্সের।

জুবাইদা আবদ ইলাল। থাকেন মিশরের উত্তরাঞ্চলীয় মিনৌফিয়া শহরে। ৮৭ বছর বয়সী এ বৃদ্ধা জানতেন না পড়তে কিংবা লিখতে। কিন্তু সম্প্রতি মিশরের সরকারের উদ্যোগে বয়স্কদের জন্য পরিচালিত একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছেন তিনি। শিখেছেন পড়াশোনা।

ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনা করতে চাইতেন জুবাইদা। তবে তার রক্ষণশীল বাবা চাইতেন না শিক্ষার আলো পড়ুক মেয়ের জীবনে। তাই ছেলেদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দিলেও স্কুলে পাঠাননি মেয়েকে।

তিনি বলেন, ‘আমি পড়াশোনা করতে চাইতাম। তবে আমার রক্ষণশীল বাবা চাইতেন মেয়েরা পড়াশোনা না করুক। যখন আমি সুযোগ পেলাম, তখন শিক্ষকরা আমাকে বাড়িতে থেকে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাদের বলেছিলাম, আমি স্কুলে এসে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে চাই।’

আট সন্তান এবং তেরো নাতি-নাতনী রয়েছে জুবাইদার। নিজে পড়াশোনার সুযোগ না পেলেও স্কুলে পাঠিয়েছেন তার মেয়েদের। তাদের পড়াশোনার খরচ যোগাতে স্কুলের সামনে রাস্তায় বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করেছেন তিনি।

জুবাইদার শিক্ষকরা জানান, তিনি পড়াশোনা করতে খুবই ভালোবাসেন। তার মূল উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট অর্জন নয় বরং প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। তার এই বয়সে এসে শিক্ষার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি সবাইকে অনুপ্রেরণা জাগাবে বলে মনে করেন শিক্ষকরা।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here