Homeশীর্ষ সংবাদআড়াই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু

আড়াই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু

ইংরেজি বর্ষবরণে ঢাকায় উড়ানো ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর এসে পড়ায় নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।

ইংরেজি বর্ষবরণে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো নিষেধ থাকলেও তা মানেনি কেউ। সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরাবরের মতো এবারও নববর্ষ উদ্‌যাপনে মেতে ওঠে ঢাকাবাসী। ফলে অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তার ও রেললাইনের ওপর এসে পড়ে।

সকালে এসব দেখে দুর্ঘটনা রোধে মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় হয়। পরে ফানুস অপসারণের কাজ করে আড়াই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পুনরায় চালু করা হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক জানান, অন্যদিনের মতো এদিনও সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলার কথা ছিল। কিন্তু ফানুস অপসারণের কাজ চলায় ১০টা পর্যন্ত উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসময় মেট্রোরেলের ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফানুস অপসারণ করা হয়।

সব কাজ শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয় স্টেশন থেকে মেট্রোরেল পুনরায় চলাচল শুরু করেছে। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের কবে বিবেক জাগ্রত হবে জানি না। ফানুস উড়ানো বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও আমরা নিয়ম ভেঙে রাতে ফানুস উড়ালাম এবং আতশবাজি ফাটালাম। ফানুসের ফলে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।’

গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বেলা ১টা ৫৩ মিনিটে তাদের নিয়ে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হয় মেট্রোরেল।

প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছটি বগি বিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করছে। আপাতত এ রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলছে। এ পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলছে; পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়নো হবে।

মেট্রোরেল প্রকল্প ২০১২ সালে একনেকে পাস হয়। মেট্রোরেলের মোট ব্যয় প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা; বাকি ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরের মধ্যে।

সর্বশেষ খবর