Homeখেলাআর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্য নায়ক স্ক্যালোনি

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্য নায়ক স্ক্যালোনি

আর্জেন্টিনার জয়ের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন লিওনেল স্ক্যালোনি । তারুণ্যের জয়গান আর স্ট্র্যাটেজিতে ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘুচিয়েছেন তিনি। নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জে সুক্ষ্ম লড়াইটা চালিয়েছেন বুদ্ধি আর পরিকল্পনায়। তার কোচিং নৈপুণ্যে তিন যুগের অপেক্ষার অবসান করেছে আলবিসেলেস্তেরা।

একটা সোনালি ট্রফির জন্য কত অপেক্ষা কত তিতিক্ষা। তিন যুগের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো অবশেষে। একজন মেসির হাতে উঠল পরম আরাধ্যের সেই ট্রফিটা। সে জয়ের অনুঘটক একজনই। মেধায় আর স্ট্র্যাটেজিতে যে ছাপিয়ে গেছে বিশ্বের যেকোনো কোচকে। যিনি আর্জেন্টাইন্দের জয়ের নেপথ্যের কারিগর।

অভিজ্ঞতা কিংবা বয়সে পিছিয়ে আছেন বিশ্বের অনেক কোচের তুলনায়। কিন্তু স্ট্র্যাটেজিতে ধুরন্দর এক কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। তারুণ্যের জয়গানে তীব্র আত্মবিশ্বাসী এই মাস্টারমাইন্ডের পরিকল্পনার কাছে হার মানবে যেকোনো কিছু। সে পরিকল্পনার ফসল হিসেবেই দলকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা আর ফিনালিসিমা। টানা ৩৬ ম্যাচ একটা দলকে অপরাজিত রাখার রেকর্ডে অন্তর্ভূক্ত করেছেন এই আলবিসেলেস্তে বস।

পরিকল্পনায় সেরা এই কোচ এবারের বিশ্বকাপেও অকপটেই নিয়েছেন দারুণ সব চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপে দলকে যিনি ম্যাচের পরিস্থিতে হিসেবে খেলিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন ফরমেশনে। তারুণ্যের জয়গানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রাপ্তিটাও এখন স্ক্যালোনির ঝুলিতে। এই আর্জেন্টাইন কোচ ইতিহাসের তৃতীয় সফল কোচ, যিনি একই সঙ্গে একটি দলকে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছেন।

১৬ বছর আগে লিওনেল মেসির সঙ্গে মাঠে দাপিয়েছেন লিওনেল স্ক্যালোনি। খেলেছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের ইতি টেনে কোচিংয়ের পথটা সহজ ছিলো না। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাডোনার কড়া মন্তব্যের সামনে পরতে হয়েছে এই আর্জেন্টাইন কোচের। তবে, সব জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে নিজের নাম ইতিহাসের সেরা কোচদের তালিকায়ও তুলেছেন।

তবে, মাত্র চার বছরের ব্যবধানে চিত্রটা একেবারেই পালটে দিয়েছেন লিওনেল স্ক্যালোনি। বদলে গেছে দৃশ্যপট। ইতিহাস তৈরির নেপথ্য কারিগরের দায়িত্বে অনড় ছিলেন ৪৪ বছর বয়সী এই মাস্টারমাইন্ড।
স্ক্যালোনির সাধারণ একটি দল নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার যাত্রায় বেশ কিছু চমক দেখেছে ফুটবল দুনিয়া। দেখেছে হুলিয়ান আলভারেজ, এনজো ফার্নান্দেজদের মতো উঠতি স্টারদের। দশ বছর আগেও মেসির সঙ্গে একবার সাক্ষাতের জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করেছিলেন আলভারেজ, এনজোরা। আজ তারা লিওনেল মেসির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদযাপন করছেন শিরোপা উল্লাস।

এবারের আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করে টুর্নামেন্টের উদীয়মান তারকার অ্যাওয়ার্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন এনজো। এছাড়াও, বিশ্বকাপের মঞ্চে লিওনেল মেসির সঙ্গে দারুণ এক জুটি দেখেছে বিশ্ব ফুটবল। চোখ ধাধানো পারফরম্যান্সে তিনটি গোল করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ। ফেভারিটের তালিকায় ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন দ্যা স্পাইডার।

 

সর্বশেষ খবর