Homeশীর্ষ সংবাদকরোনার নতুন ভেরিয়েন্টে যে ভুল একদমই করবেন না

করোনার নতুন ভেরিয়েন্টে যে ভুল একদমই করবেন না

বুস্টার ডোজও ব্যর্থ নতুন করোনার ভেরিয়েন্টে। তাই বিশ্বে করোনার নতুন রূপ নিয়ে আতঙ্কিত সবাই। করোনার এ নতুন ধরনটির নাম বিএফ.৭। এই ভেরিয়েন্ট এতই শক্তিশালী যে করোনাপ্রতিরোধী বুস্টার ডোজও এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে না। তাই করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট থেকে নিজ ও পরিবারকে দূরে রাখতে হলে ভুলে না গিয়ে মেনে চলতে হবে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়।

বাংলাদেশে এখনও করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভেরিয়েন্ট বিএফ-৭-এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে আগে থেকেই এ ভেরিয়েন্টটি নিয়ে সবার সতর্ক থাকা উচিত।

শীতের এই মৌসুমে করোনার প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তাই এই সময়টাতে সতর্ক হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বললেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এরই মধ্যে আবার মাস্কপরা বাধ্যতামূলকসহ বুস্টার ডোজ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে। তবে সচেতনতার অভাব থাকলে করোনা টিকা কার্যকর না হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।

তাই মাস্ক পরা, টিকা গ্রহণ ছাড়াও মেনে চলতে হবে আরও কিছু বিধিনিষেধ। আসুন জেনে নিই সেসব বিধিনিষেধ বা নিয়মের কথা, যা ভুলে গেলে একদমই চলবে না।

১। নতুন এই ভেরিয়েন্টটি থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনার বুস্টার ডোজ নিশ্চিত করুন।

২। অনেকেই মনে করেন, বুস্টার ডোজ নিলে তার আর চিন্তা নেই। করোনা থেকে তিনি মুক্তি পেয়ে গেছেন। বিষয়টা কিন্তু মোটেও তেমন নয়। ভ্যাকসিন নিলেই যে আপনি রোগ থেকে বাঁচবেন এমন নয়। এরপরও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।

তবে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে আপনার রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে এবং বিধিনিষেধ মেনে চলার কারণে আপনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবেন বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
৩। অনেকেই বুস্টার ডোজ নেয়া তাকলে সাধারণ হাঁচি, কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো লক্ষণগুলো তেমন গুরুত্ব দেন না; যা মোটেও সঠিক নয়। এসব উপসর্গ দেখা দিলেই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
৪। অনেকেই মনে করছেন, করোনায় একবার আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। যে ধারণা একেবারে একদমই ভুল। করোনা আক্রান্তের ৩ মাস পর আবারও আপনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৫। বাংলাদেশে করোনা স্বাভাবিক মনে হলেও যে কোনো সময় করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই মুখে মাস্ক পরার অভ্যাস আবার ফিরিয়ে আনুন।
৬। এ সময় ভ্রমণ কিংবা কোনো পার্টিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। মানুষের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

৭। খাওয়ার আগে সাবান পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি অকারণে চোখ, মুখে হাত দেয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন। তবেই নিরাপদে থাকতে পারবেন করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট বিএফ.৭-এর মরণথাবা থেকে।

সর্বশেষ খবর