Homeআন্তর্জাতিকক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চীনা ‘গোয়েন্দা বেলুন’ ধ্বংস করল যুক্তরাষ্ট্র

ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চীনা ‘গোয়েন্দা বেলুন’ ধ্বংস করল যুক্তরাষ্ট্র

ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করা হয়েছে চীনের ‘গোয়েন্দা বেলুন’। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক উপকূলে বেলুনটি ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, বেলুনটি চীনের একটি গোয়েন্দা বা নজরদারি বেলুন। দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন, এই বেলুনটির বাইরেও লাতিন আমেরিকার আকাশে আরেকটি চীনা বেলুন দেখা গেছে বলে দাবি করেছে। তবে চীন বলছে, এগুলো কোনো নজরদারি বা গোয়েন্দা বেলুন নয় বরং এগুলো এক ধরনের এয়ারশিপ যা আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। 

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের খবর, দুদিনব্যাপী ব্যাপক নাটকীয়তার পর যুক্তরাষ্ট্র মন্টানার আকাশে শনাক্ত হওয়া বেলুনটিকে ধ্বংস করা হলো। তবে এই বেলুনকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আবারও তলানিতে পৌঁছেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এরইমধ্যে তার চীন সফর স্থগিত করেছেন।

লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথমে বেলুনটিকে ভূপাতিত করার পরিকল্পনার অনুমোদন দেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জেনারেলরা এই হামলার পরিকল্পনা প্রস্তুত এবং তা বাইডেনের সামনে উপস্থিত করেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেলুনটি ভূপাতিত করার পরপরই এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়।  

এদিকে, বেলুনটি ধ্বংস করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে মেরিল্যান্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই বেলুনটি ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয়। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রে জলসীমার নিরাপদ অবস্থানে না পৌঁছানোয় এতদিন অপেক্ষা করা হয়েছে।  

বাইডেন বলেন, ‘গত বুধবারে যখন বেলুনটির বিষয়ে আমাকে অবগত করা হয় তখনই আমি পেন্টাগনকে নির্দেশ দেই সেটিকে ভূপাতিত করার। পরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় জনগণের কোনো ক্ষতি না করে বেলুনটি ধ্বংস করার।’ 

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বেলুন নয় ‘এয়ারশিপ’ প্রবেশ করেছিল বলে স্বীকার করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চীনের আকাশসীমা ছেড়ে মার্কিন আকাশসীমায় প্রবেশ করায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বেইজিং।

এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যে বস্তুটিকে নজরদারি বেলুন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে সেটি আসলে একটি এয়ারশিপ। যা মূলত গবেষণার কাজে ব্যবহার করার জন্য আবহওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়।  

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আর বলা হয়েছে, এয়ারশিপের স্টিয়ারিং সক্ষমতা বা বাঁক বদলের সক্ষমতা সীমিত হওয়ায় তা প্রবল বাতাসের কারণে মূল গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যায়।

সর্বশেষ খবর