Homeআন্তর্জাতিকজম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণা ভারতের

জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণা ভারতের

জম্মু-কাশ্মীরে এক হাজার ৮০০ আধাসামরিক সেনা (সিআরপিএফ) মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি অঞ্চলটিতে ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহতের পর নিরাপত্তা জোরদার করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় ১৮০০ আধাসামরিক সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। এরই মধ্যে সিআরপিএফ-এর সদস্যরা সেনাঘাঁটি থেকে রওয়ানা দিয়েছে বলে জানা গেছে। অঞ্চলটির বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরে গত দুই সপ্তাহে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি রাজ্যের রাজৌরি জেলার একটি গ্রামে শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় স্থানীয়দের বিক্ষোভের পর নড়েচড়ে বসেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। 

এদিকে হামলাকারীদের ধরতে কয়েকদিন ধরেই পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর তিন শতাধিক সদস্য অভিযান চালাচ্ছে বলে জানায় প্রশাসন। তবে এখনো তাদের আটক করতে না পারায় আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। 

জম্মু-কাশ্মীরে ইতোমধ্যে ব্যাপক সংখ্যায় সিআরপিএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। নতুন সেনা সদস্য এলে পুরো অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান। 

২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের বিশেষ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেয়ার পর নতুন করে সংঘাত শুরু হয় অঞ্চলটিতে। দেশটির সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানকেও ক্ষুব্ধ করে তোলে।

কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন দিয়ে সেখানে পাকিস্তান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে বহুবার অভিযোগ করেছে ভারত। যদিও নয়াদিল্লির এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার দাবি, ১৯৮৯ সালে নয়াদিল্লির শাসনের বিরোধিতায় শুরু হওয়া সশস্ত্র বিদ্রোহে এখন পর্যন্ত অঞ্চলটিতে কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর