Homeআন্তর্জাতিকজাপানের জোরপূর্বক শ্রমের ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া

জাপানের জোরপূর্বক শ্রমের ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি কারখানাগুলোতে শ্রম দিতে বাধ্য হওয়া দক্ষিণ কোরীয়দের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। সোমবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন। খবর বিবিসির।

জাপানের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে কাঁটা হয়ে থাকা এ ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সমাধান করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সিউল।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, জাপানি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা থাকলেও, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেয় সিউল। জাপানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিউলের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতিও দেয় টোকিও।

দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, জাপানের সঙ্গে এই ইস্যুতে বিরোধ মেটানোর এটাই শেষ সুযোগ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি বিরোধপূর্ণ এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের তিক্ততা দূর হবে। আমার মনে হয় এটাই শেষ সুযোগ।’

তবে, সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পরপরই ক্ষোভে ফুসেঁ ওঠে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে জোরপূর্বক দাসত্বের শিকার সাধারণ কোরীয়রা। একইসঙ্গে, সরকারের এমন নতজানু পদক্ষেপ দ্রুত বাতিলের দাবিও জানান তারা।

এর আগে ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশটির নাগরিকদের জোরপূর্বক দাস বানিয়ে কাজ করানোর দায়ে জাপানি প্রতিষ্ঠান নিপ্পন স্টিল ও মিতসুবিসি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন। যার জেরে পরবর্তীতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়।

১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপ শাসন করে জাপান। সেসময় কোরীয়দের নানা ধরনের শ্রমে বাধ্য করতো তারা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু’দেশের মধ্যে বিরাজ করছে তিক্ত সম্পর্ক। তবে সম্প্রতি চীন এবং উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় দুই দেশের এক হয়ে কাজ করার তাগিদ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত বলে সিউলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর