Homeসর্বশেষ সংবাদফের আগুন: সতর্কতার তোয়াক্কা না করেই চলছে মার্কেট ভবনটি!

ফের আগুন: সতর্কতার তোয়াক্কা না করেই চলছে মার্কেট ভবনটি!

চার মাসের ব্যবধানে আবারও আগুনে পুড়ল রাজধানীর নীলক্ষেতের গাউসুল আজম সুপার মার্কেট। এবারও কারণ বৈদ্যুতিক শটসার্কিট। ফায়ার সার্ভিস বলছে, বেশ কয়েকবার সতর্ক করার পরও কোনো তোয়াক্কা না করেই পরিচালিত হচ্ছে ভবনটি। তবে মালিক সমিতির দাবি, যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সক্ষম তারা।

দেয়াল ঘেঁষা উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার। নিয়ম-কানুনের কোনো তোয়াক্কা না করেই ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারেই চলছে নীলক্ষেতের এ মার্কেটটি। দেখে কে বলবে, শটসার্কিটের মাত্র চার মাস আগেই এ ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

সেই সময় মার্কেট কর্তৃপক্ষ বলেছিল, শিগগিরই নেয়া হবে পদক্ষেপ। তবে কে শোনে কার কথা! সবকিছুই বহাল তবিয়তে চলছিল আগের মতো। তাইতো শটসার্কিটে আবারও আগুনের হানা। শনিবার (২ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় ভবনটির দ্বিতীয় তলায়।

খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হলে চলে আগুনের সংবাদ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। এক প্রকার হুমকির মুখেই সরিয়ে নেয়া হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের। আগুন লাগা দোকানগুলোতেও দেয়া হয় তালা।

গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের চেয়ারম্যান মো. বদিরুজ্জামান বাবুলও সাফাই গাইলেন নিজ কর্মীদের। তার দাবি, আগুন খুবই ছোট; তাই ক্ষয়ক্ষতিও নেই তেমন। যদিও ঘটনাস্থলের দৃশ্য বলছে, আগুনে পুড়েছে ছাপাখানার বেশ কয়েকটি যন্ত্রপাতি।

তিনি সময় সংবাদকে বলেন, বিদ্যুৎ নিতে হলে তার তো আমাদের টেনে নিতে হবে। মানুষের জীবনে কখন কোন ঝুঁকি আসে, সেটা তো জানিয়ে আসে না! শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত, সেই দাবিও আমি করবো না।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পরিচালিত হচ্ছে ভবনটি। বারবার সতর্ক করার পরও তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

পলাশি ব্যারাক ফায়ার স্টেশনের অফিসার জিসান রহমান সময় সংবাদকে বলেন, গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে এ পর্যন্ত আমি দুবার আগুন পেয়েছি। তাদেরকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারা যদি মেইনটেইন না করে, তাহলে আমরা কী করতে পারি?

মাস চারেক আগের ঘটনায় সচেতনতা স্বরূপ কেনা হয়েছে শখানেক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। আশার কথা, এবারের ঘটনায় ঝুঁকিপূর্ণ দোকান চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ খবর