হলিউডের বাতাসেও এবার লেগেছে বয়কটের হাওয়া। জেমস ক্যামেরনের জনপ্রিয় সিনেমা অ্যাভাটারের সিকুয়েল এবার হয়েছে বর্ণবিদ্বেষীর শিকার। তাই শিগগিরই এ ছবি বয়কটের দাবি তুলেছে আমেরিকার আদিবাসীরা।
১৬ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাটির সিকুয়েল অ্যাভাটার টু। সিকুয়েল এ মুভির নাম ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।
সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে মুক্তি পায় অ্যাভাটার সিনেমাটি। এরপর দীর্ঘ ১৩ বছর পর এবার জেমস ক্যামেরন নিয়ে এল এ ছবির সিকুয়েল সিনেমাটি।
মুক্তির ৫ দিনে বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে এ সিনেমাটি। এ পর্যন্ত বিশ্বে ১৫০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলা এ ছবিটি দেখার পর আমেরিকার আদি বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন জেমস ক্যামেরন নারী এবং বর্ণবিদ্বেষী। আর সেই বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়েছে অ্যাভাটার টুতে।
এদিকে নেটিজেনরা বলছে, “আমাদের সংস্কৃতিকে ব্যবহার করে আর্থিক মুনাফা কামানোর চেষ্টা করছেন জেমস ক্যামেরন। এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা জরুরি।”
নেটিভ আমেরিকানরা বলছে, ‘সাদা চামড়ার মানুষের সিদ্ধান্ত ভুল দেখানো হয়েছে বলেই আমরা খুশি হয়ে যাব, এই ভাবনা ভুল। আমাদের পূর্বপুরুষদের অপমান করেছেন পরিচালক।’
অন্যদিকে মার্কিনিদের একাংশও ছবিটিকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন। তাদের মতে, ‘প্রাচীনপন্থি এক সাদা চামড়ার মানুষের উপনিবেশবাদের জেরে সবকিছু খারাপ হচ্ছে। এই গল্পকে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে অ্যাভাটার টু। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিকে অপমান করার পাশাপাশি পূর্বপুরুষদের বর্বর এবং অসভ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।’
সমালোচকরা বলছেন, ছবিতে নেটিভ আমেরিকানদের কাজের সুযোগও দেওয়া হয়নি। বেশির ভাগ অভিনেতা সাদা চামড়ার। অথচ তারা আমাদের কাহিনি দেখিয়ে বাণিজ্যিক লাভ করছেন। জেমস বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি বর্ণবিদ্বেষী। যদিও সিনেমাপ্রেমীদের বড় অংশকে মুগ্ধ করতে পেরেছে জেমস ক্যামেরনের নতুন সিনেমাটি।
