Homeখেলাবরুশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে জ্বলে উঠতে চায় চেলসি

বরুশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে জ্বলে উঠতে চায় চেলসি

ফিরতি লেগে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে আথিত্য দেবে চেলসি। প্রথম লেগে ১-০ গোলের হারে কিছুটা পিছিয়ে ব্লুজরা। নিজেদের সাম্প্রতিক বাজে ফর্ম কাটিয়ে ইউরোপসেরার মঞ্চে জ্বলে উঠতে চান গ্রাহাম পটার শিষ্যরা। অন্যদিকে হার এড়ালেই শেষ আটে পা রাখবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। শেষ ১০ ম্যাচে না হারার ছন্দ এগিয়ে রাখছে তাই বরুশিয়ানদের।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে চেলসি-ডর্টমুন্ড মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়।

দলবদলে খরচের রেকর্ড করেও সুদিন ফেরাতে পারছে না চেলসি। কে বলবে–দুই মৌসুম আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার দল এটা। এখন ছন্নছাড়া দশা। ঘরোয়া লিগের দুই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে এখন তাদের একমাত্র অবলম্বন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যেখানে রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে আছে তারা। পরের রাউন্ডে যেতে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে তাই তাদের জিততে হবে কমপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে।

এই ম্যাচে হার কিংবা ড্র করলেই ইউরোপসেরার মঞ্চ থেকে বিদায় নেবে ব্লুজরা। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা দুর্দিনে সেরা খেলোয়াড়দের পাচ্ছে না ক্লাবটি। এনগোলো কন্তে, এদুয়ার্দ মেন্দি, থিয়াগো সিলভা, ম্যাসন মাউন্টরা ইনজুরিতে। এর মাঝে একমাত্র স্বস্তির খবর–এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছেন দলটির বড় তারকা ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক।

ম্যাচের পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে চেলসি কোচ গ্রাহাম পটার বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে আমরা জার্মানিতে ওদের মাঠে হেরেছি। কিন্তু এখন প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। আশা করি, আমরা আমাদের মাঠে জয় নিয়েই বাড়ি ফিরব। অতীতে কী হয়েছে তা নিয়ে ভাবতে চাই না। পুরো মনোযোগ আমাদের ম্যাচের দিকে।’

এদিকে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। সেরা ছন্দে আছে বরুশিয়ানরা। ২০১৩ সালের পর লন্ডনে আর কখনো হারেনি এডিন টার্জিক শিষ্যরা। আর চলতি বছর দুই গোলের বেশি দিতেও পারেনি চেলসি। তারপরও শেষ আটে ওঠার রোমাঞ্চে অতিথিরা।

বরুশিয়া কোচ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতায় আমরা এগিয়ে আছি। তবে ব্যবধানটাও কম। তাই আমাদের সতর্ক থাকতেই হচ্ছে। আমরা হারব না, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই মাঠে নামব।’

অতিথিদের শক্তি বাড়িয়েছে ফিট হয়ে গোলরক্ষক গ্রেগর ও ডানিয়েল মালেনার মাঠে ফেরা। শেষ পর্যন্ত জার্মান নাকি ইংলিশ শক্তি–কে টিকে থাকে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় ফুটবলবিশ্ব।

সর্বশেষ খবর