Homeশীর্ষ সংবাদবর্জ্যের ভাগাড়ের দুর্গন্ধে নাকাল রংপুরবাসী

বর্জ্যের ভাগাড়ের দুর্গন্ধে নাকাল রংপুরবাসী

এক দশকেও রংপুর সিটিতে গড়ে ওঠেনি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এতে একদিকে বর্জ্যের ভাগাড়ের দুর্গন্ধে নাকাল অবস্থা, অন্যদিকে রংপুরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৈনিক ১৩০ টনেরও বেশি বর্জ্য তৈরি হয় নগরীতে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি করপোরেশন রংপুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে আছে কেবল একটি ডাম্পিং স্টেশন। তবে সেখানেও নেই সঠিক ব্যবস্থাপনা। ২০৭ বর্গ কিলোমিটারের সিটি করপোরেশনের আবর্জনা অপসারণে আছে ৩২টি ট্রাক, দুটি করে স্কিম স্টেয়ার লোডার, স্কাভেটর ও ৮৯টি ট্রলিভ্যান, যা বিরতিহীনভাবে দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করে। কিন্তু এতেও সমস্যার সমাধান মেলেনি।

এদিকে একমাত্র ডাম্পিং ব্যবস্থাটিতেও রয়েছে অব্যবস্থাপনায়। নেই সীমানাপ্রাচীর, ফলে ময়লা নিয়ে শহরের রাস্তা নোংরা করছে বিভিন্ন প্রাণী। নগরবাসী বলছে ১০ বছরেও চোখে পড়েনি রংপুর সিটির সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

নগরীর মুলাটোল এলাকার বাসিন্দা লুতিফুর কবির বলেন, বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা নিয়ে খুব সমস্যায় থাকি। আশপাশে কোথাও ময়লা ফেলার ব্যবস্থা নেই। ফলে বাড়ির পাশে উপায় না পেয়ে ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা-আবর্জনা।

রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করে নগরবাসীকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে সহায়তা করবে কর্তৃপক্ষ এমন আশা স্থানীয়দের।

অন্যদিকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নগরীজুরে চলছে মনোনীত প্রার্থীদের প্রচারণা। সেই সঙ্গে মেয়র নির্বাচিত হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সিটির সব অসুবিধা সমাধানের আশ্বাস মেয়রপ্রার্থীদের।

রংপুর সিটি করপোরেশনের (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা, মো. রুহুল আমিন মিয়া জানান, গত ৫ বছরে রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন খ্যাতে বরাদ্দ ছিল প্রায় ছয় কোটি টাকা।

২০১২ সালের ২৮ জুন গঠন হয় এই সিটি করপোরেশন। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে বসবাস করছে

প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

 

সর্বশেষ খবর