Homeআন্তর্জাতিকভূমিকম্প: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় হাহাকার

ভূমিকম্প: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় হাহাকার

শক্তিশালী ভূমিকম্পে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায়। দেশটিতে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। চিকিৎসার সুব্যবস্থা না থাকায় ঠান্ডায় চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন হতাহতরা। এখন পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছায়নি সিরিয়ায়।

সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মাসহ পরিবারের অন্যদের হারিয়ে ফেলে রাঘাদ নামের এক শিশু। সিরিয়ার আজাদ শহরে ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে হতাহতদের বের করে আনার সময় তাকে জীবিত উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। অন্যদিকে ভূমিকম্পের আঘাতে সদ্যজাত শিশুকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে দফায় দফায় ভূমিকম্পের তাণ্ডবে এমনই চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সিরিয়ায়।  

একে তো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গোলাগুলি, বোমা আর ক্ষেপণাস্ত্রের শব্দ শুনে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার মানুষ। এর মধ্যেই ইতিহাসের ভয়াবহ এই ভূমিকম্প মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধায় জর্জরিত সিরিয়ার জন্য। ভূমিকম্পে সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এখনও ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে আটকেপড়াদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় খালি হাতেই অনেকে নেমেছেন উদ্ধারকাজে। যুদ্ধের কারণে আগে থেকেই সিরিয়ার বহু হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। এর মধ্যে ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে হতাহতদের বের করে হাসপাতালে ঠাঁই দেয়া কঠিন হয়ে উঠেছে দেশটির জন্য। সিরিয়ায় ঠিক কতজন আহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। 

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইদলিব অঞ্চল। তীব্র ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত অবস্থা সেখানে। অঞ্চলটিতে সাহায্য জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই দুর্যোগের আগেও ইদলিব ছিল সহায়তা সংস্থাগুলোর জন্য দুর্গম অঞ্চল। এখনও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না সিরিয়ায়।

দেশটিকে সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়া সরকার। এদিকে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সিরিয়ার সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি।

সর্বশেষ খবর