Homeসর্বশেষ সংবাদমির্জা ফখরুলের এ মামলাটি নতুন, এপর্যায়ে জামিন নয়: আদালত

মির্জা ফখরুলের এ মামলাটি নতুন, এপর্যায়ে জামিন নয়: আদালত

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে করা এ মামলাটি এখনও নতুন-এ পর্যায়ে তিনি জামিন পেতে পারেন না।

বুধবার (২২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের ওপর  উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ কথা বলেন তিনি।

দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারাবাস। মামলার বয়স কম বিবেচনায় তাকে জামিন দেননি আদালত।

এদিন বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, চাপের কারণেই জামিন দেননি বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, চাপ নয় আইন অনুযায়ী খারিজ হয়েছে তার জামিন আবেদন।

বিএনপি মহাসচিবের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বিচারক দুপক্ষের বক্তব্যই মনযোগ দিয়ে শুনেছেন। এরপর জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, মামলাটি এখনও নতুন, এ পর্যায়ে মির্জা ফখরুল জামিন পেতে পারেন না।

তবে বিচারকের ওপর চাপ থাকায় তিনি জামিন দিতে পারেননি বিএনপি মহাসচিবকে বলেও মনে করেন তিনি।

এদিন দুপুর আড়াইটাই শুরু হয় জামিন শুনানি। অসুস্থতা, বয়স, হয়রানিমূলক মামলা বিবেচনায় জামিন চান তার আইনজীবীরা। জামিনের বিরোধিতা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু বলেন, চাপ নয়, অ-জামিন যোগ্য অপরাধের কারণে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় এ আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

বিএনপি মহাসচিবের জামিন শুনানি ঘিরে আলোচনা ছাপিয়ে যায় আদালতের বাইরেও। চলতে থাকে রাজনীতির নানা হিসেবে নিকেষও।

প্রসঙ্গত- গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন রাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানোর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ডিবি অফিস থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন কবীর খান।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আবার গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে ফের মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। যা ২০ নভেম্বর শুনানির দিন ছিল। ওইদিন শুনানি শুরু হলে আদালতে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল দেখা দেয়। পরে বিচারকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও এ মামলার অন্যান্য আসামি হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

সর্বশেষ খবর