ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আর কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করবে না বুয়েট শিক্ষার্থীরা। তবে ফারদিনের পরিবার কোনো যৌক্তিক পদক্ষেপ নিলে সঙ্গে থাকবে শিক্ষার্থীরা।
বুয়েট ক্যাম্পাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট ক্যাম্পাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা। প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানায় ফারদিন হত্যার বিষয়ে ডিবি ও র্যাবের ব্যাখ্যায় সন্দেহ নেই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে তারা জানায়, ফারদিনের মোবাইলের শেষ লোকেশন আর সুলতানা কামালের ব্রিজের যে স্থান থেকে ঝাঁপ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই দুই স্থানের লোকেশন মিলে যায়। সেখান থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফারদিনের ঘড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
তাই এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে ব্যক্তিটি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল তিনিই ছিলেন ফারদিন। ফারদিন যে ওই রাতে এত যায়গায় ঘুরেছে তার প্রমাণ স্বরূপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ফারদিনের মোবাইলের কথোপকথন থেকে দেখা যায় যে ওই রাতে ফারদিনের মোবাইলের লোকেশনগুলো এবং সেই সময়ে তার মোবাইলে কথোপকথন এটাই প্রমাণ করে যে ফারদিন তার মোবাইল দিয়েই কথা বলছিলেন এবং সে তখন বিভিন্ন স্থানে ঘুরছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ফারদিন হত্যাকাণ্ডে ড্রাইভারের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এমনকি চনপাড়া বস্তি কিংবা মাদক কিংবা রায়হান গ্যাঙের সঙ্গেও কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীরা জানান, আত্মহত্যার মোটিফের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।