খুদে শিক্ষার্থীদের হাসির আলোয় উদ্ভাসিত হলো নতুন বছরের প্রথম দিনটি। সারা দেশের মতো যশোরেও আজ বই উৎসবের মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী হতে এবং কোচিং বর্জনের আহ্বান জানিয়ে খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
জানা যায়, যশোরে এ বছর মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বইয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬। যার মধ্যে আজ ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৯টি বই বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ১১০টি বইয়ের বিপরীতে ৮ লাখ ২৭ হাজার ৭১৬ বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম আযম বলেন, ‘রোববার সব শিক্ষার্থী কিছু না কিছু বই নিয়েই বাড়ি ফিরবে এবং আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে যাবে।’
সম্পূর্ণ সেট না পেলেও বছরের প্রথম দিন নতুন বই পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দটা বলে বোঝানো যাবে না। সব বই না পেলেও যে কয়টা পেয়েছি তাতেই খুশি। বাড়ি গিয়ে নতুন গল্পগুলো পড়ব।
এদিকে বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী হতে এবং কোচিং বর্জনের আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, নতুন বছর সব শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসতে হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজটি করতে হবে। ক্লাসেই সব পড়া সম্পন্ন করতে হবে। গৃহশিক্ষক ও কোচিং থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে। ক্লাসে পাঠদানের মাধ্যমেই নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট ও প্রযুক্তিতে পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।