জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করে পাকিস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি শুরু হওয়ায় বন্যা স্থায়ী হয় অক্টোবর পর্যন্ত। এ বন্যায় অন্তত ১ হাজার ৭০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
বন্যা চলে গিয়ে শীত মৌসুম চলে এলেও বন্যা বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে এখনো পুনর্বাসন, পুনর্গঠন কাজ শুরু করা যায়নি। পাকিস্তান সরকারের হিসাব অনুসারে বন্যায় গৃহহীন কয়েক লাখ মানুষের বাড়িঘর নির্মাণ, বিধ্বস্ত কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা, রেলপথ নির্মাণের জন্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের জন্য ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা লাগবে। বিশেষ করে এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দারিদ্র্য দশা থেকে বের করে আনতেও এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে।
এদিকে, জেনেভায় জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন একটি দল যোগ দিচ্ছে। সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও উপস্থিত থাকবেন।
অপরদিকে, জেনেভায় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তারা পাকিস্তানে বেইল আউট প্রোগ্রামের বিষয়ে কথা বলবেন।
আইএমএফ ২০২২ সালের নভেম্বরে ১১০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় বিষয়টি আটকে যায়। সেই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে কথা বলতেই এই বৈঠক। সম্ভব হলে বৈঠক শেষেই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী টাকা নিয়ে দেশে ফিরতে চান।