ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ২৮৬ স্কোর নিয়ে নয়াদিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে উঠেছে।
একই সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে নয়াদিল্লির পরেই আছে ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৮৭)। আর একই স্কোর (১৮৭) নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী আছে তৃতীয় স্থানে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তা জানায়।
একিউআই স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়; বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ এর আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি। শনিবার নয়াদিল্লির বায়ুর মান ২৮৬ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বায়ুমানের খারাপ পরিস্থিতি বোঝায়। ভয়াবহ বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন শহরটির বাসিন্দারা। এতে ঝুঁকি কমাতে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে নয়াদিল্লি, উত্তরপ্রদেশসহ উত্তরাঞ্চলজুড়ে চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা মাইনাস চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। একইসঙ্গে রোববার (১৫ জানুয়ারি) থেকে দিল্লিতে পুনরায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে বলেও জানানো হয়।
গেল কয়েকদিন তাপমাত্রা একটু বাড়লেও দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দিল্লিতে এক দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের পর আগামী সপ্তাহে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল ছাড়াও ভারতের উত্তরাঞ্চলজুড়ে তাপমাত্রা মাইনাস চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।