Homeশিক্ষাএক পরীক্ষায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে ভর্তি হবে শিক্ষার্থীরা

এক পরীক্ষায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে ভর্তি হবে শিক্ষার্থীরা

একটি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিতে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের একটি স্কোর দেবে এনটিএ। স্কোর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।

দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ফলে ভর্তিচ্ছুদের দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত ও অর্থ অপচয়সহ পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ লাঘবে চালু হয় গুচ্ছ পদ্ধতি। গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বারবার ফি দেয়ার বাধ্যবাধকতা, বছরজুড়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না পাওয়ায় সেশন জটসহ নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। তাই আগামী বছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের মূল্যায়নে চালু হচ্ছে নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি।

ভর্তি প্রক্রিয়া সমন্বয় করতে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এই অথিরিটি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের একটি স্কোর দেবে। স্কোর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা। সেশনজট কমাতে বছরে দুবারও হতে পারে ভর্তি পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, সবার জন্য একটা পরীক্ষার পদ্ধতি থাকবে যেই পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে সে তার স্কোর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারবে এবং তাদের পছন্দের বিষয়বস্তু সে নিতে পারবে।

ইতোমধ্যেই ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে পরিচালিত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, এনটিএ-এর মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বুয়েট অর্থাৎ যেগুলো এখনো আমাদের গুচ্ছ পদ্ধতি আসেনি তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তারা বলছে, এটা আধুনিক পদ্ধতি।

স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষের অধীনে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে শিক্ষাবিদরা বলছেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনের স্বাধীনতা যেন সংকুচিত না হয়।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, একটা কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা হলে শিক্ষার্থীদের যে ভোগান্তিটা কমবে। যেগুলো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন প্রকৌশল বা বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন- মেডিকেল কলেজ সেগুলোও কিন্তু আসতে পারে।

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট নানা জটিলতা আমলে নিয়ে এই পদ্ধতিকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ তাদের।

সর্বশেষ খবর