মেঘনার তীব্র ভাঙনের মুখে থাকা ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলা রক্ষায় ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্ষার আগেই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ নদীপারের মানুষের। এর মধ্য দিয়ে নদীপারের মানুষ রক্ষা পাবে বলে মনে করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলাকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় গত বছর এপ্রিলে উন্নয়ন ও তীর সংরক্ষণ নামের প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। এর আওতায় বাঁধ পুনর্বাসন, তীর সংরক্ষণ, হার্বার, রিভার পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এবং সোলার লাইটিং স্থাপন করা হবে।
প্রায় ৩৪ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, ১৭ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ কাজ, ৭টি পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণ, ৯টি হার্বার নির্মাণ, ৩টি রিভার পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ, রিভার ড্রাইভে ৩৪৭টি সোলার লাইটিং স্থাপন করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
ভাঙনের মুখে থাকা বাসিন্দারা জানান, এতে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ত পানি প্রবেশ রোধ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সবুজ বেষ্টনী এবং পর্যটন সুবিধা বাড়বে। আর রক্ষা পাবে নদীপারের মানুষের সম্পদ।
সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু হাওলাদারের দাবি, প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মেঘনার ভাঙন শতভাগ রোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।’
সম্প্রতি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি কাজের মান ঠিক রাখতে স্থানীয় জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে।