Homeঅর্থনীতিসিন্ডিকেটের থাবায় সিলেটে চামড়া ব্যবসায় ধস

সিন্ডিকেটের থাবায় সিলেটে চামড়া ব্যবসায় ধস

ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটের থাবায় সিলেটে ধস নেমেছে গোটা চামড়া ব্যবসায়। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশ যেন। তারা এখন ব্যবসাই গুটিয়ে ফেলার চিন্তা করছেন!

কোরবানির ঈদ শেষে দেশের বিভিন্ন জেলায় জমে ওঠেছে চামড়ার ব্যবসা। তবে সিন্ডিকেটের কারণে সিলেটে শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে চামড়া ব্যবসায়ীদের।

চামড়া ব্যবসায়ী গেদা মিয়া বলেন,

চামড়া ব্যবসায় ধস নেমেছে। আট হাজার চামড়া কিনে লবণ লাগিয়ে বসে আছি। চামড়ার দাম নিয়ে দারুণ শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে। এখনও আগের টাকা পাইনি।

উল্লেখ্য, সিলেটে চলতি বছর প্রায় ৮০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো এখন লবণ দিয়ে গুদামে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এগুলো ট্যানারি মালিকদের কাছে দেয়া হবে।

এদিকে, গত বছরের তুলনায় এবার গরু ও খাসির চামড়ার দাম বাড়ানো হলেও সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছেন না ট্যানারি মালিকরা। এতে একদিকে উপযুক্ত দাম না পাওয়া, অন্যদিকে ট্যানারিতে বকেয়া টাকা আটকে পড়ায় এ ব্যবসাতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন অনেকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ট্যানারি মালিকদের কাছে সিলেট থেকে চামড়া গেলেও সময় মতো টাকা দিচ্ছেন না। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

চামড়া ব্যবসায়ী মো. আবুল কাশেম বলেন,

বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্যবসায়ীদের বকেয়া টাকা নিয়ে গড়িমসি করছে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা। এখানে সিন্ডিকেট কাজ করছে। এতে লাভের মুখ না দেখায়; অনেকেই ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।

সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. আসাদ বলেন, বকেয়া টাকা নিয়ে ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এমন পরিস্থিতিতে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত তৃণমূলের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. শাহীন আহমদ।

তিনি বলেন,

সরকার ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চাঁদনিঘাট ও কদমতলি ঝালোপাড়া এলাকায় চামড়ার আড়ত ছিল শতাধিক। তবে লোকসানের কারণে এ সংখ্যা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।

সর্বশেষ খবর