তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দেয়া তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ রুপি জরিমানার রায় চ্যালেঞ্জ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, সেশন্স আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তারপর থেকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে তোশাখানা দুর্নীতি মামলা অন্যতম।
গত বছরের আগস্টে করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন দেশ সফরকালে পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী ব্যক্তিগতভাবে কিনে নেয়া ও সেগুলো বিক্রি করে দেয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ইমরান খান।
প্রায় ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপির উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছয়টি রোলেক্স ঘড়িসহ ৭টি হাতঘড়ি, একটি দামি কাফলিঙ্ক, একটি কলম ও একটি আংটি রয়েছে। তবে শুরু থেকেই এমন অভিযোগ নাকচ করে আসছেন ইমরান খান। তিনি বলছেন, তাকে ও তার দলকে আসন্ন নির্বাচনে বাধা দিতে এসব মামলা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) তোশাখানা মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও রাজনীতিতে ৫ বছরের জন্য ‘নিষিদ্ধ’ বা ‘অযোগ্য’ করে রায় দেন সেশন্স কোর্টের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। সেই সঙ্গে ১ লাখ রুপি জরিমানা করেন তিনি। এরপরই ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে সেশন্স আদালতের এই রায়ের বিরুদ্বেধ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমরানের আইজীবী নাইম হায়দার পাঞ্জোথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) নাঈম আপিল আবেদনের একটি কপিও পোস্ট করেন।
নিয়ম অনুযায়ী, উচ্চ আদালত আপিল আবেদন অনুমোদন করলে মামলাটি নতুন করে শুনানির জন্য নির্ধারিত হবে। শুনানির মাধ্যমে জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরানের আইনজীবী যেসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।