Homeখেলাফের ফাইনালে ডি মারিয়ার গোল

ফের ফাইনালে ডি মারিয়ার গোল

বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠাটা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার অভ্যাস। ৩৬ বছর পর কাতারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে ফাইনালে ডি মারিয়ার পারফরম্যান্স এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়ার কথা নয়। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ফ্রান্সকে নাচিয়ে ছেড়েছেন। সর্বজয়ী ফুটবলার আরও একবার প্রমাণ করলেন- কেন তাকে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় বলা হয়। এবার অবশ্য ক্লাবের হয়ে। গোল করে ক্লাবকে এনে দিলেন মৌসুমের প্রথম শিরোপা।

বুধবার (৯ আগস্ট) পর্তুগিজ সুপার কাপে মুখোমুখি হয়েছিল প্রিমেরা লিগার দুই জায়ান্ট পোর্তো ও বেনফিকা। ম্যাচের ৬১ মিনিট পর্যন্ত দুদলের খেলায় ছিল গোলশূন্য সমতা। এরপরই আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠেন এই দলবদলেই বেনফিকায় ফেরা বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। গোল করে দলকে এনে দিয়েছেন শিরোপা। বেনফিকার ২-০ গোলের জয়ে বাকি গোলটি পিটার মুসার।

ক্লাব হোক বা জাতীয় দল, ফাইনাল ম্যাচে ডি মারিয়া মাঠে থাকা মানে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। ১২ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদ যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ‘লা দেসিমা’ পূর্ণ করেছিল, সেদিনও ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ডি মারিয়াই ছিলেন। আর আলবিসেলেস্তেদের আকাশী-সাদা জার্সিতে তার কীর্তির সামনে তো মহারথীরাও নস্যি। ২০২১ সালে যে কোপা আমেরিকা জিতে আর্জেন্টিনা তাদের দীর্ঘদিনের শিরোপাখরা দূর করে, সেই ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি ছিল ডি মারিয়ারই করা।

শুধু কী কোপা আমেরিকা! এরপর লা ফিনালিসিমায় ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষেও বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষেও গোল করেছেন ডি মারিয়া। গোলের চেয়েও বড় কথা এই দুই ম্যাচে যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার ঔজ্জ্বল্যের সামনে বাকি সকলেই ম্লান হয়ে পড়েছিলেন।

পর্তুগিজ কাপের ফাইনালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন ডি মারিয়া। চলতি মৌসুমে য়্যুভেন্তাস তাকে ছেড়ে দিলে ইউরোপে নিজের প্রথম ঠিকানায় ফিরে এসেছেন তিনি। বয়সের ভারে কিছুটা খেই হারালেও এখনও দারুণ কার্যকরী তিনি। তারই প্রমাণ রেখেছেন ম্যাচে। মুহূর্তের ঝলকে খেলার চেহারাই বদলে দিয়েছেন।

এদিন ৬১ মিনিট পর্যন্ত বেনফিকাকে ভালোই সামলেছে পোর্তো। আক্রমণেও উঠছিল থেমে থেমে। কিন্তু এরপরই এক নিমিষেই ম্যাচটা পোর্তোর নাগালের বাইরে নিয়ে যান ডি মারিয়া। ডান প্রান্তে সতীর্থের ঠেলে দেয়া বল নিয়ে দ্রুতগতিতে ঢুঁকে পড়েন ডি মারিয়া। এরপর কোনাকুনি প্লেসিং শটে বল দূরের পোস্টে পাঠান। এর সাত মিনিট পর মুসার গোলে জয় নিশ্চিত হয় বেনফিকার। এদিন ম্যাচসেরার পুরস্কার গেছে ডি মারিয়ার ঘরেই। নতুন করে বেনফিকায় ফিরে এটাই প্রথম শিরোপা তার।

সর্বশেষ খবর