Homeআন্তর্জাতিকনিউইয়র্কের বিমানবন্দরে বিএনপিকর্মী গ্রেফতার

নিউইয়র্কের বিমানবন্দরে বিএনপিকর্মী গ্রেফতার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে তিনি জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় প্রধামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নাগরিক সংবর্ধনার প্রচারণা চালায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। এসময় অপরপ্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কটাক্ষ করে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। এ সময় দু’দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ইটপাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে দু’দলের মধ্যে উত্তেজনাকর মিছিল ও স্লোগান চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। যেকোনো মূল্যে বিএনপি- জামায়াতের অপতৎরতা রুখতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এর আগে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর তার ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

তার আগে রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ‘সোনার তরী’ নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিন উচ্চ পর্যারের সাধারণ আলোচনায় যোগ দেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে সাধারণ পরিষদের মূল অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এর আগে, ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

বিশ্ব নেতারা ৭৮তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে একত্রিত হবেন। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার : সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্ব ত্বরান্বিত করায় ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ’।

Exit mobile version