Homeজাতীয়পুতিন ও মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

পুতিন ও মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দুই নেতাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরমাণু শক্তিকে শান্তিপূর্ণ পথে ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। এখানকার বিদ্যুৎ হবে সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব।

গেল ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে পাওয়া ইউরেনিয়াম কড়া নিরাপত্তায় রূপপুরে নিয়ে রাখা হয়েছে। আজ সেই ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হলো।

অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি ভার্চুয়াল যুক্ত ছিলেন আইএইএ ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল ম্যারিয়ানো গ্রসি।

অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর। সামনের দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সস্পর্কের কথা তুলে ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বহু পুরনো। সমতা ও সম্মান এই সম্পর্কের ভিত্তি।

রূপপুরের এ যৌথ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সবসময় রাশিয়া পাশে থাকবে জানিয়ে পুতিন বলেন, ২০২৪ সালের প্ল্যান্টটির ১ম ইউনিট এবং ২০২৬ সালেই উৎপাদনে আসবে ২য় ইউনিট। সিডিউল অনুযায়ী শেষ হবে এর নির্মাণকাজ।

সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই উৎপাদনে যাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রাশিয়া থেকে আমদানি করা ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামসহ পরমাণু চুল্লির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে এপ্রিল পর্যন্ত।

এরপর, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ইউনিট-১ প্রস্তুত হবে।

ইউরেনিয়াম সাইটে পৌঁছালেও, বিদ্যুৎ উৎপাদনে কেনো এতো বিলম্ব- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক এবং পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর জানালেন, এখনো বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি। অপারেশন করা হবে ডামি ফুয়েল দিয়েও। নির্মাণ থেকে অপারেশনাল স্টেজে রূপান্তরের এ সময়ে আপাতত সরকার বড় কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version