Homeঅর্থনীতিউৎপাদন পর্যায়ে খরচ বাড়ায়, নির্ধারিত দাম ধরে রাখা কঠিন: বাণিজ্যমন্ত্রী

উৎপাদন পর্যায়ে খরচ বাড়ায়, নির্ধারিত দাম ধরে রাখা কঠিন: বাণিজ্যমন্ত্রী

দ্রব্যে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর করা সম্পন্ন বাজারের ব্যাপার। যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল তা ধরে রখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ উৎপাদন পর্যায়েই দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার (১৫ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে চাল, তেল, চিনিসহ টিসিবির নিত্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রি চালিয়ে যাওয়া হবে। আগামী মাস থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে এক কোটি মানুষের মধ্যে।

সকালে টিসিবির নিত্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও তা এক মাসেও বাজারে কার্যকর হয়নি। উল্টো সেঞ্চুরি করেছে দেশি পেঁয়াজ। এছাড়া খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকায় এবং অর্ধশতকেও মিলছে না এক হালি ডিম। ঠিক এক মাস আগে অর্থাৎ গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশি পেঁয়াজ, আলু ও ডিম- এই তিন পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। সে সময় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৬৪ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, আলুর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা এবং প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১২ টাকা। সে হিসেবে দেশের বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হওয়ার কথা ১৪৪ টাকা দরে। কিন্তু বাজারের বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

বেঁধে দেয়া দর কার্যকরে যদিও বাজারে চলছে সরকারি সংস্থার অভিযানসহ নানামুখী তৎপরতা, অথচ ফল হয়েছে উল্টো। সরকারি দর তো বাজারে কার্যকর হয়ইনি বরং, একমাস আগের দরের চেয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম।

গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায়; যা একমাস আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া খুচরায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে সবোর্চ্চ ১৬৮ টাকায়। আগে যা ছিল ১৫০ থেকে ১৫৮ টাকা।

বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে কিনছি। পাশাপাশি পরিবহন বাবদ খরচ তো আছেই। এই পেঁয়াজ আমরা কীভাবে কম দামে বিক্রি করব?

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি না করার বিষয়ে এক পেঁয়াজ বিক্রেতা জানান, সরকারের লোক কিনে বিক্রি করুক, তাহলে বুঝবে কত টাকায় বিক্রি করতে হবে লাভ করতে হলে।

ডিমের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে আরেকজন ক্রেতা বলেন, সরকার একটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে, অথচ একটা ডিম খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা দরে।

এদিকে সরকারি দর কার্যকর না হলেও আলু বিক্রি হচ্ছে একমাস আগের দরেই। প্রতি কেজি আলু খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। হিমাগারগুলোতে কারসাজির কারণে দাম কমছে না বলে দাবি করছেন আড়তদাররা।

অন্যদিকে বাজারে চড়া ব্রয়লার মুরগির দামও। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে সোনালী মুরগির কেজি ৩২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা। এদিকে বাজার স্থিতিশীল করতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version