Homeআন্তর্জাতিকগাজায় অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই চলছে অস্ত্রোপচার

গাজায় অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই চলছে অস্ত্রোপচার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী শেষ হয়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অ্যানেস্থেসিয়াও নেই।

ফলে ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই চলছে অস্ত্রোপচার। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলাসহ বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করছেন চিকিৎসকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে এ তথ্য উঠেছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে টানা এক মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় একদিকে ইসরাইলের অনবরত বিমান এবং অন্যদিকে স্থল অভিযান চলছে। এতে হাজার হাজার আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।

এরই মধ্যে কয়েক ডজন হাসপাতাল মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। অবরোধও অব্যাহত রেখেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। ফলে ঢুকতে পারছে ত্রাণ সহায়তা ও চিকিৎসা সামগ্রী। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে চরম বিপাকে পড়েছে গাজাবাসী। ইসরাইলের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ছুটে এলেও তাদের ঠিকমতো চিকিৎসা দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে চিকিৎসার সরঞ্জামের সহায়তা পাঠানোর ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিতে ফের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের তো হত্যা করা হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যা করা হচ্ছে চিকিৎসকদেরও। ইসরাইলি হামলায় আহত ও রোগীদের সেবা করতে গিয়ে এরই মধ্যে ১৭৫ জনেরও বেশি চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন।

ডব্লিউএইচও’র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমায়ার এক সংবাদ সম্মেলনে গাজার চিকিৎসকদের ব্যাপারে বলেন, ‘এই মানুষগুলোই গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নিষ্ঠার মধ্যদিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শত বাধার মধ্যেও তারা কোনো না কোনোভাবে চিকিৎসা চালু রাখার উপায় খুঁজে নিয়েছে।’

গুরুতর আহতদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে তা বারবারই গণমাধ্যমে উঠে আসছে। যেমন মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে গাজার এক অর্থোপেডিক সার্জন বলেন, পর্যাপ্ত অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই আহতদের অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হচ্ছে চিকিৎসকেরা।

তিনি আরও বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের সময় আহতরা ব্যথায় চিৎকার করছেন। কঠিন বাস্তবতা হলো এই চিৎকারে অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় থাকা মানুষগুলো ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন।’

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version