Homeসর্বশেষ সংবাদ‘গ্রেপ্তার আতঙ্কে’ বাড়ি থেকে পালিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বিএনপি কর্মী

‘গ্রেপ্তার আতঙ্কে’ বাড়ি থেকে পালিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বিএনপি কর্মী

বগুড়ার শেরপুরে মো. আব্দুল মতিন (৫০) নামের এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামে সরিষা খেত থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

মতিন মান্দাইল গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিএনপির বিশালপুর ইউনিয়ন কমিটির সদস্য।

সরেজমিনে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করার সময় ১৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় দলের বেশ কিছু কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৬৭ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার ৬৪ নম্বর আসামি ছিল মতিন।

মতিনের ছেলে মিলন রহমান বলেন, ‘মামলার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে বাবা বাড়িতে থাকতেন না। বুধবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকালে কৃষকেরা জমিতে ধান কাটতে গেলে পাশে সরিষা থেকে মতিনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। তাঁকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বাবার মাথার পেছনে চারটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।’

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) সজীব শাহরিয়ার ও শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য জানান, পুলিশের মামলার কারণে গ্রেপ্তার আতঙ্কে মতিন বাড়িতে থাকতেন না। তিনি বাড়ি পাশে ঝিনাগাড়ি পুকুর পারে রাত্রিযাপন করতেন। আজ সকালে এই পুকুরের পাশের একটি জমিতেই মতিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতা-কর্মীদের মতো মতিনও পুলিশের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকত। এই হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করেছি।’

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন জানান, মতিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version