নৌকার টিকিট পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে হলে পূরণ করতে হবে চারটি শর্ত। নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই এ শর্তগুলো বিবেচনায় রাখা হবে। আর বিশেষ বিবেচনায় থাকবে তরুণ আর নারীরা। আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে ঘোষণা করা হবে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
তফসিলের পরই যেনো উৎসবে মেতেছিলো বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। টানা চারদিন দলীয় মনোনায়ন ফরম বিক্রি আর জমা দেয়ায় নেতা-কর্মীদের ঢল নামে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
দলের একটি সূত্র বলছে, এবারের নির্বাচনে তিন হাজার ৩৬২টি মনোনায়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। যার আর্থিক মূল্য ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৩০টি, চট্টগ্রামে ৬৫৯টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি, খুলনায় ৪১৬টি, রংপুরে ৩০২টি, ময়মানসিংহে ২৯৫টি, সিলেটে ১৭২টি, আর বরিশালে ২৫৮টি ফরম বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ১২১টি মনোনায়ন ফরম। গড় হিসেবে প্রতিটি আসনে ১১টি।
এদের মধ্যে কারা থাকছেন এগিয়ে? আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান জানালেন, সবার আগে দেখা হবে নিজ আসনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কেমন। বিবেচনায় রাখা হবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা। দেশের সংকটে বিশেষ করে করোনাকালে তাদের ভূমিকা কী ছিলো – এসবও যুক্ত হবে আমলনামায়। আর সবশেষ দেখা হবে ব্যক্তি ইমেজ। বাছাই প্রক্রিয়ায় এ চারটি বিষয় মাথায় রাখবে বোর্ড।
এবার সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও সাবেক আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যবসাসয়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা চেয়েছেন নৌকার মাঝি হতে। তারাও থাকবেন বিবেচনায়। তবে তুলনামূলক তরুণ আর নারী প্রার্থীরা এগিয়ে থাকবেন বিবেচনায়।
ফারুক খান আরও বলেন, যারা প্রার্থী হবার দৌড়ে আছেন, সবাই প্রস্তুত আছেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে। তাই ২৮ তারিখের মধ্যে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলেও শেষ দুদিনে তাদের নির্বাচন কমিশনে মনোনায়নপত্র জমা দিতে বেগ পেতে হবে না।