Homeরাজনীতিনোয়াখালীতে স্বামী নৌকা, স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী

নোয়াখালীতে স্বামী নৌকা, স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে নোয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নোয়াখালী জেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তিনি আ.লীগের পক্ষ থেকে নৌকা মনোনয়ন চাইলে এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে পূণরায় নৌকা মনোনয়ন দেয় দলটি।

এ নিয়ে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘আমি নৌকার মনোনয়ন চাইলে আমাকে দেয়া হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যেহেতু দল থেকে নির্বাচন করার অনুমতি আছে। তাই জনগণের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করবে আমি নৌকার মনোনয়নের যোগ্য ছিলাম কিনা। এ আসনের সর্বস্তরের জনগণ নিয়মিত আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে, তাই তাদের কল্যাণ বিবেচনা করে নির্বাচনের মাঠে নেমেছি।’

এদিকে নোয়াখালী-৪ (সদর- সুর্বণচর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও মরহুম আব্দুল মালেক উকিলের ভাইয়ের ছেলে অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী অংশের) আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এরআগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ আসনে নৌকা নিয়ে জয়লাভ করেন আয়েশা ফেরদাউস। তিনি ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র ভোট করে অল্প ভোটে হেরে যান। ওই নির্বাচনে নৌকা পেয়েও জটিলতার কারণে মনোনয়ন বাতিল হয় মোহাম্মদ আলীর। তিনি ২০০১ সালে স্বতন্ত্র ভোট করে এমপি নির্বাচিত হন। এরআগে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালেও জাতীয় পার্টি থেকে মোহাম্মদ আলী ওই এলাকার এমপি হয়েছিলেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন হাতিয়া দ্বীপের সাত লাখ জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করে আসছি। ২০০৮ সালে নৌকা পেয়েও নির্বাচন করতে পারিনি। দুই বারের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের অনুরোধ এবার নেত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছে। আমি হাতিয়ায় সুষ্ঠু ভোট চাই।’

সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সহযোগিতা নিয়ে বিগত ১০ বছর আমি হাতিয়ায় কাজ করেছি। এবার মোহাম্মদ আলীকে নৌকা দিতে নেত্রীকে অনুরোধ করি। মোহাম্মদ আলী নৌকা পেয়েছেন। আমি নৌকার পক্ষে কাজ করবো। তবুও নৌকার সহযোগিতায় আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।’

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ১৫ হাজার ৬৬১ জন। এরমধ্যে পুরুষ একলাখ ৬৬ হাজার ৫৫৪ জন, মহিলা একলাখ ৪৯ হাজার ১০৬ ও একজন হিজড়া ভোটার আছেন। দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৯৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ ৬৮২টি। এবার এ আসনে মোট সাতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

সর্বশেষ খবর