Homeসর্বশেষ সংবাদপঞ্চগড়ে পিআইও অফিসের কার্য সহকারী ৭বছরে কোটি টাকার বাড়ি

পঞ্চগড়ে পিআইও অফিসের কার্য সহকারী ৭বছরে কোটি টাকার বাড়ি

সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড়ে পিআইও অফিসের কার্য সহকারী ৭বছরে কোটি টাকার বাড়ি, স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৪ হাজার টাকা বেতন পেয়ে সাত বছরে কোটি টাকার জমিসহ ছয় তলা ভিত্তি দিয়ে দুই তলার নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন তিনি, তিন তলার কাজ চলছে। মো.আবু হানিফ বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ভানোর গ্রামের কৃষক মুনির উদ্দিনের দুই ছেলের মধ্যে বড় আবু হানিফ।দূর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের কার্য্য সহকারী পদে চাকুরিতে যোগদান করেন ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বর্তমান কর্মরত। এই  কার্য সহকারীর বেতন ১৫ হাজার ৬৬০ টাকা।এর আগে ছিল ১৪ হাজার টাকা। থাকেন জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে। ভাড়া বাবদ যায় এক হাজার টাকা।প্রতি সপ্তাহে তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও যাতাযাত, বাড়ি ভাড়া বাদ দিয়ে থাকে ৯ হাজার টাকা।এই টাকায় দুই সন্তান, স্ত্রী, পিতা-মাতাসহ তিনি সারা মাস কীভাবে কাটান, তা এক অপার রহস্য। এই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের আশ্রম পাড়া এলাকায় বহুতল ভবন করার ঘটনায়।তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে উপজেলাসহ সব মহলে।
জানা যাচ্ছে,ঘুষ-বাণিজ্য,প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত অবৈধ আয়ের মূল উৎস তার।আশ্রম পাড়া এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৬ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে করা বাড়িটির নির্মাণকাজ শেষ করতে আড়াই কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। এ পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে, তাতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, এ এলাকায় প্রতি শতক জমির বর্তমান বাজারমূল্য ১৮-২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে হানিফের সাড়ে চার শতক জমির দাম বর্তমানে প্রায় এক কোটি টাকা।
সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের আশ্রম পাড়া এলাকায় আবু হানিফের বাড়িটি দুই তলার কাজ শেষ হয়ে তৃতীয় তলার কাজ শুরু করেছেন।নিচতলায় রাখা হয়েছে গ্যারেজের জায়গা।
এছাড়ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর গান্ডিকারী বাজারে জমি কিনে বহুতল ভবনের ভিত্তি দিয়ে পিলার পর্যন্ত তুলেছেন।গ্রামের বাড়িটিও বেশ পরিপাটি। স্ত্রী শারমিন আক্তারের নামে করা হয়েছে এলজিইডি সহ বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকাদারি লাইসেন্স, রয়েছে ” হাম্মাদ ট্রেডার্স ” নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।পঞ্চগড় ও বালিয়াডাঙ্গীতে রয়েছে ডাচবাংলা,পুবালি ব্যাংকসহ কয়েকটি হিসাব।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়,চাকুরি করার সুবাদে কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে নিয়ে তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে চাকরি করলেও নিজের নামে প্রকল্প নিয়ে করেছেন আত্মসাৎ। শত অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে আবু হানিফ জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বাইরে কিছু করার নাই। আমরা কৃষি করি এ বছরে ১৪ লাখ টাকার আলু বিক্রি করেছি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, কারো ব্যক্তিগত সম্পদের বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই।

সর্বশেষ খবর