Homeজেলাবগুড়ার শেরপুরে এখনো উত্তাপ নেই ভোটের মাঠে

বগুড়ার শেরপুরে এখনো উত্তাপ নেই ভোটের মাঠে

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন মানেই একধরণের বড় উৎসব। প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটারদের আলোচনায় সরগরম থাকে নির্বাচনী এলাকা। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় প্রতীক বরাদ্দের সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও বগুড়ার শেরপুরে নেই প্রচারণার উত্তাপ। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে দেখা মিলছে না প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যনার ও লিফলেট। উপজেলার গাড়িদহ, কুসুম্বি, মির্জাপুর ও বিশালপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম ঘুরে মিলেছে এমনই চিত্র।

বগুড়া ৫ শেরপুর ধুনট আসনে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছন ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মজিবর রহমান (মজনু) নির্বাচনী প্রতীক নৌকা , বিএনএফ-এর মো. আলী আসলাম হোসেন রাসেল নির্বাচনী প্রতীক টেলিভিশন, ইসলামী ঐক্যজোটের নজরুল ইসলাম নির্বাচনী প্রতীক মিনার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মামুনার রশিদ নির্বাচনী প্রতীক ডাব ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মো. রাসেল মাহমুদ নির্বাচনী প্রতীক মশাল। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কিছুটা প্রচারণা চোখে পড়লেও অন্যদের দেখা মিলছে না।


আরও পড়ুন


উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন, এবারের নির্বাচনে কতজন প্রার্থী বা কারা প্রার্থী হয়েছেন, জানি না। শুধু জানি, মজিবর রহমান মজনু নৌকা মার্কার টিকিট পেয়েছেন। বাজারে তার কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু কোন প্রচারণা মিছিল চোখে পড়ে নাই। তার পক্ষে কেউ ভোটও চায়নি। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে শুধু টেলিভিশন মার্কার কিছু পোস্টার দেখেছি। কিন্তু তাকে চিনি না।“

বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল বাজারের সোবাহান আলী, মান্দাইল গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কুসুম্বি ইউনিয়নের টুনিপাড়া বাজারের আবদুর রাজ্জাক, তাজপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান, গাড়িদহ বাজার এলাকার আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন এলকার মানুষ জানিয়েছেন একই ধরণের কথা।

আবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অনীহা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আবার অনেকে জানিয়েছেন বিগত দিনে ভোট না দিতে পারার ক্ষোভের কথা। বাগড়া হঠাৎ পাড়া গ্রামের আমেনা খাতুন বলেন, “গতবার ভোট দিতে গেলে হাতে শুধু কালি লাগিয়ে দিয়েই বলে ভোট হয়ে গেছে। তাই এবার আর যাব না।“

পানিসারা বৌবাজার এলকার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “এবারে মজিবর রহমান মজনুই এমপি হচ্ছেন। আমারদের ভোট দেওয়া বা না দেওয়ায় কিছু যায় আসে না। তাই ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ নাই।“

প্রসঙ্গ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যে তারা সাংগঠনিকভাবে দলীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির মিটিং সম্পন্ন করেছেন। এখন পর্যায়ক্রমে খুলি বৈঠক এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

একই প্রসঙ্গ নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের দলীয় প্রার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন তারা এখনও অনেক এলাকাতে যেতে পারেননি।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি নিমাই ঘোষ। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা দৃশ্যমান মনে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী জনসভা করছেন যা এক ধরনের কর্মীসভার মতো। এতে হয়তো শহর অঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। আর বাকি চারজন প্রার্থীর কাউকে নির্বাচনের মাঠে দেখাই যাচ্ছে না। “

সর্বশেষ খবর