সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার নারায়নপুর পন্ডিত পাড়া এলাকার জুলেখা বেগম ও আব্দুর রশিদের চলাচলের রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করার অভিযোগ সিংরোড রতনিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম তার দুই ছেলে সাজন ও সনম এর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা একই এলাকার।গত বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেড়া দেয় তারা। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে।কিন্তু শনিবার (৩০ ডিসেম্বর)পর্যন্ত কোন সুরহা হয়নি।এতে চলাচলে বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো।
এর আগে ২ ডিসেম্বর ওই রাস্তাটি বন্ধ করার চেষ্টা করলে জুলেখার পরিবার বাধা দেয়। অভিযুক্তরা মারমুখী হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ভয়ে তারা চিৎকার করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।এ ঘটনায় জুলেখা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০৭ ধারা মতে ন্যায় বিচারের প্রার্থনা করেন।যাতে অভিযুক্তরা শান্তি ভঙ্গ করে ভয়ভীতি হুমকি ও জানমালের ক্ষতি করতে না পারে।
ভুক্তভোগী জুলেখা বেগম বলেন,তার চার মেয়ে সন্তান নিয়ে বসবাস করে,বাড়িসহ জমি দখল করার জন্য অভিযুক্তরা তার মেয়েদেরকে বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত কুপ্রস্তাব,হুমকি দিয়ে আসে।ভবিষ্যতে আমাদের ক্ষতি যেন না হয়, আমি মামলা করেছি।পরে আমাদের চলাচলের রাস্তাটিতে বেড়া দেয়।বাড়ি থেকে বের হবার বিকল্প কোন রাস্তা নাই।
অভিযুক্ত সাজন ইসলাম জানান,আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করি। ঘরের পাশ দিয়ে তাদের যাতাযাত কিন্তু প্রতিদিন তাদের বাড়িতে বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি মোটরসাইকেল আসে এতে আমার কাজে বিঘ্ন ঘটে।তাই আমাদের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়েছি।তারা চাইলে আমাদের অন্য সাইটে জমি আছে সেদিক দিয়ে রাস্তা করে নিতে পারে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান,অভিযুক্তদের কথা আমাদের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়েছি।তবে এটাও সত্য দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়ে তারা আসা-যাওয়া করে।আমি প্রধান শিক্ষকের দেখা করব।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাকির হোসেন জানান,বিষয়টি আপোষ করে দিতে আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দিচ্ছি ।আর চেয়ারম্যান ব্যবস্থা যদি নাও নেয় পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য।