ফিফা দ্য বেস্টের মঞ্চে না পারলেও দুবাই গ্লোব সকারের মঞ্চে ঠিকই বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজী তারকা আর্লিং হলান্ড। একই মঞ্চে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন। তিনি ফিফা দ্য বেস্টেও সেরা ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুবাইতে এক স্মরণীয় রাত কাটিয়েছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির সদস্যরা। সেরা ক্লাব, সেরা কোচ, সেরা খেলোয়াড়, সেরা গোলরক্ষক ও সেরা মিডফিল্ডারের পুরস্কার দখলে নিয়েছে তারা।
দুবাই গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন সিটির ২৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার হলান্ড। ইনজুরির কারণে বছরের শেষ কিছু ম্যাচে মাঠে নামতে না পারলেও ২০২৩ সালটা দুর্দান্তই কেটেছে হলান্ডের। গত বছর ৫০ গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও হ্যারি কেইনের পেছনে ছিলেন তিনি।
এছাড়া ২০২২-২৩ মৌসুমে সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগসহ একাধিক ট্রফি জয়ের পথে ৫৩ ম্যাচে ৫২ গোল করেছিলেন তিনি। চলতি প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমেই ১৫ ম্যাচে তার পা থেকে এসেছে ১৪ গোল।
এত সব পারফরম্যান্সের পর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তার হাতে ওঠা তা এক প্রকার অনুমেয়ই ছিল। যদিও গত ১৬ জানুয়ারি ফিফা দ্য বেস্টের মঞ্চে ৩৬ বছর বয়সী লিওনেল মেসির কাছে এ পুরস্কারের দৌড়ে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। সে কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে।
সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে কোচ ও ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হলান্ড বলেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটি একটি দারুণ ক্লাব। প্রশাসন ও ক্লাব প্রধান থেকে আমরা যে সহযোগিতা পাই সেটা অনেক। এটা সুন্দর ক্লাব, আমি এখানে উপভোগ করছি। এখানকার মানুষরা আমাকে পারফর্ম করতে সহযোগিতা করছে। ম্যানেজারের (পেপ গার্দিওয়ালা) ভূমিকাও কম নয়।’
সবশেষ গত ৬ ডিসেম্বর প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন হলান্ড। এরপর ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি সিটির হয়ে ৯টি ম্যাচ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১ ফেব্রুয়ারি বার্নলির বিপক্ষে ফের মাঠে নামতে পারেন তিনি। মাঠে নামার জন্য তর সইছে এ স্ট্রাইকারের। বিশ্রামে থেকে তিনি উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবি করেছেন।
হলান্ড বলেন, ‘আশা করি দ্রুতই ফিরব। কারণ খেলতে না পেরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’
এদিকে ফিফা দ্য বেস্টের মঞ্চে সেরা গোলরক্ষক হওয়া ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন সেরা হয়েছেন গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চেও। পেছনে ফেলেছেন মরক্কো ও আল হিলালের গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো, রিয়াল মাদ্রিদের থিবো কর্তোয়া, ইন্টার মিলানের মাইক মাইগনান, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আন্দ্রে ওনানা ও বার্সেলোনার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনকে।
গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৮ ম্যাচ খেলে ১৯টিতে দলকে ক্লিন শিট রাখতে পেরেছিলেন এডারসন। সিটির হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ। এদিকে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন সিটির পেপ গার্দিওয়ালা, সেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন একই ক্লাবের রদ্রিগো।