Homeঅর্থনীতিস্বর্ণের দাম নাগালে রাখতে যে প্রস্তাব বাজুসের

স্বর্ণের দাম নাগালে রাখতে যে প্রস্তাব বাজুসের

দেশের স্বর্ণের বাজারে লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত বছর ২৯ বার দাম সমন্বয়ের মধ্যে এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২০ হাজার ২৯৬ টাকা। চলতি বছরের শুরুতেও তা অব্যাহত রয়েছে। এতে দেশের বাজারে কমেছে বেচাকেনা। এ অবস্থায় ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার দাবি বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস)।

সংগঠনটির হিসাব বলছে, সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ অর্থাৎ, ২২ ক্যারেটের এক ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৯০ হাজার ৭৪৫ টাকা। এরপর ২৯ বার ওঠানামায় বছর শেষে দাঁড়ায় ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকায় এ বছর দাম বেড়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪১ টাকায় ওঠার পর আবার নেমেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকায়। এতে দিন দিন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মূল্যবান এই ধাতু।

রাজধানীর নিউমার্কেটে স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ আশিক বলেন, উচ্চমূল্যের কারণে সামর্থ্যের মধ্যে পছন্দের অলঙ্কার কেনা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। স্বর্ণের দাম অনেক বেশি। এই দামে কাউকে কোনো ছোট অলঙ্কার উপহার দেয়া বেশ কঠিন।

আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি দোকান ঘুরেছি। কিন্তু আমরা মনের মতো কিছু পাচ্ছি না। এখন যদি আমাদের বাজেট অনুসারে পাই তাহলে কিনবো, না হয় ফিরে যেতে হবে।’

ঘন ঘন দামের ওঠানামর কারণে বিক্রি ও লাভ দুটোই কমছে বলে জানান বিক্রেতারা। এক বিক্রেতা বলেন, ‘আজ ১ হাজার টাকা বেড়ে যাচ্ছে। আবার কাল ১ হাজার টাকা কমে যাচ্ছে। এতে ক্রেতাদের ওপর প্রভাব পড়বে বেশি। পাশাপাশি আমাদেরও ক্ষতি হচ্ছে। যেমন- এখন উপহার দেয়া হয় এমন পণ্য তেমন একটা বিক্রি হচ্ছে না। তাই দাম কমলে আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্যও ভালো।’

বাজুস বলছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিরতায় স্বর্ণ ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়ী। যার দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে।

তাই ক্রেতার নাগালের মধ্যে রাখতে বিদ্যমান ভ্যাট কমানোর দাবি সংগঠনটির। বাজুসের সাবেক সভাপতি ও মুখপাত্র ড. দীলিপ কুমার বলেন,

ধনী দেশগুলো এখন স্বর্ণকে সঞ্চয় ও রিজার্ভ হিসেবে কিনছে। তাই স্বর্ণের দাম কমা এখন দুঃসাধ্য ব্যাপার। তবে স্বর্ণের ওপর আরোপিত ভ্যাট যদি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা যায় তাহলে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার টাকা কমবে। আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ দিতে হয়, সেটি কমালে আরও ৫ হাজার টাকা দাম কমবে।

অবশ্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে স্বর্ণশোধনাগার গড়ে উঠলে হয়তো বিশ্ববাজারে পিওর গোল্ডের দাম বাড়লেও কিছুটা সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version