ভারতের সবচেয়ে দামি মন্দিরগুলোর তালিকায় এখন শীর্ষে রয়েছে রামমন্দির। এই মন্দির নির্মাণের জন্য মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮০০ কোটি রুপি। এর কাছাকাছি রয়েছে কেবলমাত্র গুজরাটের বিষ্ণু উমিয় ধামের মন্দির, যা তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রামের গহনা তৈরিতে ১৫ কেজি সোনা এবং প্রায় ১৮ হাজার হিরা ও পান্না ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া তিলক, মুকুট, ৪টি নেকলেস, কোমরবন্ধ, দুই জোড়া পায়েল, বিজয় মালা, দুটি আংটিসহ মোট ১৪টি গহনা তৈরি করা হয় মাত্র ১২ দিনে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ভারতীয় নির্মাণ সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুব্রো ৭০ একর (২৮ হেক্টর) কমপ্লেক্সের মধ্যে রামমন্দির নির্মাণ করছে। এটি নির্মাণে প্রায় ১৮০০ কোটি রুপি খরচ হবে। তবে রামমন্দির প্রতিষ্ঠায় ভারত সরকার কোনো তহবিল সরবরাহ করেনি। সম্পূর্ণ কমপ্লেক্সের জন্য প্রায় ৩০০০ কোটি রুপি অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে।
রামমন্দির নির্মাণের দায়িত্ব ছিল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাছে। এই ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, রামমন্দির নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯০০ কোটি রুপি খরচ ধরা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা রয়েছে মোট ৩ হাজার কোটি রুপিরও বেশি। তবে অযোধ্যার এই মন্দির তৈরির মোট বাজেট ১৮০০ কোটি রুপি।
ভারতের দেশীয় বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে এমন শিল্পকর্ম এবং ম্যুরাল তৈরির জন্য সারা দেশ থেকে শিল্পীদের বাছাই করা হয়েছে। মন্দিরের ভেতরের অংশ সাজানো হবে সোনা দিয়ে।
রামের ম্যুরাল তৈরি করেছেন তিনজন ভাস্কর। এদের মধ্যে একজনকে গর্ভগৃহের ভেতরে থাকার জন্য বেছে নিয়েছিল প্যানেল। ‘রামলালা’ বা ভগবান রামের ভাস্কর্যটির ওজন ১৫০-২০০ কেজি (৪৪০ পাউন্ড)। ভাস্কর্যটি তৈরি হয়েছে গ্রানাইটের পাথর দিয়ে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এই ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনো সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণ হয়নি। পুরো মন্দির তৈরি শেষ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।