Homeঅর্থনীতিএখনও জমে ওঠেনি বাণিজ্য মেলা

এখনও জমে ওঠেনি বাণিজ্য মেলা

তিনদিন পার হলেও জমে ওঠেনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। বেশিরভাগ দোকানেই চলছে সাজসজ্জার কাজ। দিনে কম থাকলেও সন্ধ্যার পর কিছুটা লোক সমাগম বাড়তে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের তৃতীয় দিনের সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে ক্রেতা সমাগম ঢিলেঢালা থাকলেও বিকেলের পর কিছুটা জমে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।

এক ক্রেতা বলেন, মেলা বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা গোচ্ছানো। তাছাড়া খাবারের দোকানগুলোর পরিবেশ আগের তুলনায় উন্নয়ন হয়েছে।

আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আগে আগারগাঁওতে যখন বাণিজ্য মেলা হতো, তখন যে আমাদের পাওয়া যেত, পূর্বাচলে সেই আমেজ নেই। মেলার আগের মতো জমে ওঠেনি। তবে ধীরে ধীরে হয় তো এখানে সবাই আসবে। কেনাকাটা করবে’।

তবে মেলায় লিড় কিছুটা বাড়লেও জমছে না বেচাকেনা। বিক্রেতারা বলছেন, এখনো বেচাবিক্রি পুরোদমে শুরু হয়নি। ছুটির দিনের আশায় আছেন তারা।

ছুটির দিনে বিক্রি বাড়ার আশা প্রকাশ করে এক বিক্রেতা বলেন,

মেলা তো সবে শুরু হলো। এখনো অতটা জমে ‍উঠেনি। সকালের দিকে কোনো লোকই ছিল না। দুপুরের পর মানুষ আসা শুরু করে। মোটামুটি ক্রেতা আসছে। কিন্তু বেচাবিক্রি তেমন একটা ভালো না। আমরা আশা করছি বৃহস্পতিবারের পর থেকে বেচাবিক্রি বাড়বে।

আরেকজন বিক্রেতা বলেন, বেচাবিক্রি মূলত সন্ধ্যার পর হয়। দিনের বেলা হয়ই না। তাছাড়া এখন এমনিতেই ক্রেতা কম। যারাই আসেন, তারা দামাদামি করে চলে যান। দুই একজন হয় তো কিনে। এছাড়া তেমন একটা ক্রেতা নেই।

কেনাকাটা ছাড়াও অনেকেই আসেন পরিবারের সঙ্গে মেলার আমেজ উপভোগ করতে। মেলায় স্টল রয়েছে ৩৫১টি  তবে অনেক স্টল এখনো নির্মাণাধীন। কয়েকদিনের মধ্যেই সব স্টল প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

গতবারের মত এবারও মেলায় থাকছে ক্রেতা দর্শণার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিআরটিসি বাসের সুবিধা। তবে এবার ১০০টিরও বেশি বিআরটিসি বাসের সুবিধা থাকছে। কমলাপুর থেকে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে বাণিজ্য মেলা এবং শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কুড়িল হয়ে বাণিজ্য মেলা পর্যন্ত এসব বাস চলাচল করবে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ টাকা। এবারের আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক এবং মা ও শিশু কেন্দ্র।

এ বছর বাড়ানো হয়েছে বাসের সার্ভিস রুট। ফার্মগেট থেকে মেলা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে যাতায়াত করবে বিআরটিসি পরিবহন। এই বাস পরিষেবার মাধ্যমে একজন যাত্রী মাত্র ৭০ টাকায় ফার্মগেট থেকে সরাসরি মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছাতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর