Homeখেলামেসিকে নিয়েও জাপানি দলের কাছে হারল ইন্টার মায়ামি

মেসিকে নিয়েও জাপানি দলের কাছে হারল ইন্টার মায়ামি

এশিয়া সফরে এসে সৌদি আরবের দুই ক্লাব আল হিলাল ও আল নাসরের কাছে হেরেও ততটা আলোচিত হয়নি ইন্টার মায়ামি, যতটা আলোচনা হচ্ছে হংকং একাদশের বিপক্ষে মেসিকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা নিয়ে। এমনকি শেষ পর্যন্ত মেসিকে সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যাখ্যা করতে হয়েছে না খেলার কারণ। মেসির খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে ম্যাচেও। তবে শেষ পর্যন্ত মেসি খেললেন।

প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি নিতে এশিয়ায় এসেছে লিওনেল মেসির ইটার মায়ামি। সেই সফরের অংশ হিসেবে টকিওতে জে১ লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভিসেল কোবের মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনার সাবেক কিংবদন্তিদের দলে টানা ইন্টার মায়ামি। তবে অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি মেসি-সুয়ারেজদের। গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে জাপানি দলটির কাছে হেরে গেছে তারা।

এই ম্যাচের ৬০ মিনিটে মাঠে নামেন মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা মাঠে নামামাত্রই হর্ষধ্বণিতে মাঠ কেঁপে ওঠে। মাঠে নেমে ঝলক দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দও দিয়েছেন মেসি। আক্রমণ তৈরি করেছেন, গোলও প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মেসিকে গোল করতে দেখার আনন্দময় মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারেনি জাপান ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের দর্শকরা। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যায় মেসিরা।

এদিন অবশ্য মেসিকে ছাড়াই মাঠে নেমে শুরুর দিকে দারুণ ফুটবলই খেলছিল ফ্লোরিডার দলটি। প্রথম ১০ মিনিটে তো বল একবারও ভিসেল কোবের অর্ধ পার হয়নি। তবে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হতে থাকে স্বাগতিকরাও। পরের পাঁচ মিনিটে দুইবার বল পোস্টে মারে ভিসেল কোবে।

১৭ মিনিটে মায়ামির সার্জিও বুসকেটস আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লে চাপে পড়ে যায় তারা। লং বলে একের পর এক দারুণ আক্রমণ শানাতে থাকে জাপানি দলটি। বারবার পরীক্ষা নিতে থাকে এমএলএসের দলটির ডিফেন্ডাদের। এ সময় মেসির অভাব হাড়ে হাড়ে টের পায় মায়ামি।

৩৩ মিনিটে গিয়ে গোলের জন্য প্রথম শটটি নেওয়ার সুযোগ পায় মায়ামি। টেলরের নেওয়া সেই শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩৮ মিনিটে মায়ামির আরও একটা আক্রমণ নস্যাৎ হয়ে যায়।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন কোবের ওসাকা।

দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রেখে খেলছিল স্বাগতিকরা। ৬০ মিনিটে ডেভিড রুইজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি । দলের সেরা তারকা মাঠে নামতেই চেহারা বদলে যায় মায়ামির।

মেসি-সুয়ারেজ জুটি মিলে দারুণ সব আক্রমণ করতে থাকেন। তেমনই একটি আক্রমণ থেকে অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হয় মায়ামি। পাল্টাআক্রমণ চালাচ্ছিল জাপানি দলটিও।

৭৯ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। একাকী গোলরক্ষককে পেয়েও গায়ে মারেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরপর তার ফিরতি শট গোললাইনের কাছে থেকে ক্লিয়ার করেন কোবের ডিফেন্ডার। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য খেলা শেষ হলে টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে শেষ পর্যন্ত হার দেখে মেসির দল।

সর্বশেষ খবর