মাত্র ১৯ বছর বয়সে মারা গেলেন আমির খানের ‘দঙ্গল’কন্যা সুহানি ভাটনগর। তিনি ‘দঙ্গল’ ছবিতে আমির খানের মেয়ে ববিতা ফোগতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে সুহানি ভাটনগরের। এদিকে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভীষণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শোনা যাচ্ছিল সুহানি মারা গেছেন ভুল চিকিৎসায়। তবে এবার মৃত্যুর আসল কারণ জানাল সুহানির পরিবার।
সুহানির বাবা সুমিত ভাটনাগর বলেন,
ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামের বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল সুহানি। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। এটি একটি রেয়ার কন্ডিশন; যা ত্বক, মাসল, ফুসফুসসহ শরীরের একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করে।
সুহানির মা পূজা ভাটনগর বলেন
মাস দুয়েক আগে সুহানির দুই হাত ফুলতে শুরু করেছিল। সে সময় তাকে স্টেরয়েড দেয়া হয়েছিল। কারণ, এই অসুখের এটিই নাকি একমাত্র ওষুধ ছিল।
সুহানির বাবা সুমিত আরও বলেন, সুহানির স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হয়নি। এবং তার ফুসফুসে অতিরিক্ত তরল জমে যাওয়ার পরে তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সুহানির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তার ফুসফুস দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে যায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি অল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে ভর্তি হন অভিনেত্রী এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘দঙ্গল’ ছবিতে কিশোরী ববিতা ফোগতের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন সুহানি। ছবিতে সুপারস্টার আমির খান, সাক্ষী তানওয়ার, ফতিমা সানা শেখ, সানিয়া মালহোত্রা এবং জাইরা ওয়াসিমের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও বেশকিছু টিভি বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছিলেন সুহানি।
ডার্মাটোমায়োসাইটিস রোগটি ঠিক কী?
বিরল এই রোগটি পেশি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি উভয়ের প্রদাহ সৃষ্টি করে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বেশি। কিছু মানুষ এই রোগের লক্ষণ দেখিয়েছে তাদের লুপাস বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নামে সংযোগকারী টিস্যু ডিসঅর্ডার রয়েছে। এই রোগটি ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।