অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা এবং ভুয়া দাঁতের চিকিৎসা করাসহ নানা অভিযোগে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটা থেকে দিনব্যাপী পাবনা জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা সদরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করে। তাদের সাথে ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ও র্যাব কর্মকর্তা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় খাবার হোটেল, মিষ্টির দোকান, বেকারি ও হোটেল ব্যবসায়ীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রি, কারখানায় নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন করায় পাবনা সদরের নাজিরপুর এলাকার রতন ফুড প্রোডাক্টসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া সুজানগর পৌর সদরের কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালকে মেয়াদহীন রি এজেন্ট, ছাত্রীদের নার্স হিসাবে ইসিজির মত জরুরি কাজে ব্যবহার করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ২০ হাজার এবং হাসপাতালের অবস্থা ভোক্তাদের জীবনহানিকর হওয়ায় ৫০ হাজার এই মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে মেসার্স সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অপারেশন থিয়েটারের অব্যবস্থাপনা এবং সেবা গ্রহীতার জীবন বিপন্নকারী কাজ করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক ডা. পাভেল রানাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানের অপারেশন থিয়েটার ও ল্যাব সিলগালা করা হয়।
একই এলাকার মেসার্স সততা ডেন্টাল কেয়ারে ভুয়া ডাক্তারি করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। এছাড়া প্রতিশ্রুতি সেবা যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় মেসার্স লামিয়া মেডিকেল হলকে ৫ হাজার টাকা ও মেসার্স পাইকারি ফার্মেসি এন্ড সার্জিক্যালকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিলগালা করা কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল, মেসার্স সততা ডেন্টাল কেয়ার ও মেসার্স সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠানকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়।
অভিযানে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি, র্যাব-১২ পাবনার স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেন, সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুজয় সাহা উপস্থিত ছিলেন।