Homeআন্তর্জাতিকআদালত কক্ষে বিচারকের সামনেই বাবার খুনিকে গুলি!

আদালত কক্ষে বিচারকের সামনেই বাবার খুনিকে গুলি!

বাবার হত্যাকারীর বিচার কাজ চলার সময় আদালত কক্ষে বিচারকের সামনেই সন্দেহভাজন খুনিকে গুলি করেছেন ছেলে। তাও আবার একবার নয়, দু’বার নয়; ছয়বার আসামিকে লক্ষ্য করে ঘটে এই ঘটনা। আদালতের মধ্যেই বাবার খুনিকে তাড়া করে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত এবং গুলি ছোঁড়েন ওই সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলে।

সাও হোসে দো বেলমন্টের আদালত কক্ষ থেকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ক্রিশ্চিয়ানো আলভেস টারটো (২৭) ফ্রান্সিকো ক্লিদিভালদো মারিয়ানো ডি মৌরার উপর গুলি ছুঁড়ছেন। এ সময় বিচারক এবং জুরিদেরকে টেরটোকে থামাতে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।

এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে ৩৮-ক্যালিবার রিভলবার নিয়ে টেরটো কীভাবে আদালত কক্ষে ঢুকেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়,টেরটো আদালতের মধ্যে মৌরাকে তাড়া করে এবং আসামির মাথায় বার বার আঘাত করে। এরপর আদালতের বাইরে থাকা পুলিশ এসে টেরটোকে ধরে ফেলে এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে।

ওই হামলায় মৌরা বেঁচে গেলেও তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। পরে চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও তাকে স্থানান্তর করা হয়। জ্যাম প্রেসের মতে, কয়েকদিন চিকিৎসা নেয়ার পর অব্যাহতি পান তিনি।

২০১২ সালের ৫ অক্টোবর, ফ্রান্সিসকো আলভেসকে হত্যা করেছিলেন মৌরা। তার স্বীকারোক্তির সময়, তিনি দাবি করেছিলেন যে একটি গাধাকে কেন্দ্র করে আলভেসের সঙ্গে তর্কে জড়ানো নিয়ে ঘটনাটি ঘটে।

বলেন, আলভেস তার সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেছিল এবং তাকে নোংরা ছোট চোর বলে অভিহিত করেছিল।
এরপরে দু’জনে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং আলভেস একটি কাঠের লাঠি নিয়ে তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময়ে মৌরা সতর্কতা হিসেবে ওপরের দিকে একটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন। তারপরও যখন আলভেস থামেনি, তখন তিনি নিজেকে রক্ষা করার প্রয়োজন থেকে গুলি চালাতে বাধ্য হন।

আলভেসের পেটে গুলি লাগে এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১৮ দিন চিকিৎসার পর তিনি মারা যান।
এরপর মৌরা উত্তর ব্রাজিলের একটি শহর সালগুয়েরোতে পালিয়ে যান। এক দশকেরও বেশি সময় পরে পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে এবং গ্রেফতার করে। এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর থেকে মামলার কোনো পুনঃবিচারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি, অন্যদিকে টেরটো হামলার পরের দিন থেকে কারাগারে আছেন।

এই হামলার ঘটনাটি ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ সালের ঘটনা। কিন্তু পুলিশ ১ এপ্রিল, ২০২৪ সালে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version