ইরানের ওপর হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সায় না পেয়ে চুপ হয়ে গেছে ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা! শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে প্রথমবারের মতো নিজেদের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
এ ঘটনায় ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে ইসরাইল। রোববার (১৪ এপ্রিল) দেশটির যুদ্ধ মন্ত্রিসভা বৈঠকও করেছে। তবে ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেবে তা জানায়নি। কীভাবে এবং কখন এই পাল্টা হামলা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
ইরানি হামলার জবাব দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে অন্তত ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে ইসরাইলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা। তবে এই দীর্ঘ বৈঠকেও ৫ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা জবাব দেয়ার সময় ও ধরন নির্ধারণ করতে পারেনি। তবে ইসরাইলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এই বৈঠক আবার শুরু হবে।
উত্তেজনা কমাতে এবং আঞ্চলিক সংঘাত এড়াতে ইসরাইলকে তার প্রতিক্রিয়ায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তারা জোর দিয়ে বলছে, ইরানের ছোড়া তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ ভাগই ভূপাতিত করা হয়েছে। ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তার কারণে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন যে ইরানে হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের সাহায্য করবে না।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।
সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়।